উচ্ছ্বাস: ইস্টবোর্নে সেমিফাইনালে উঠে নোভাক জকোভিচ। ছবি: এএফপি
এত দিন তিনি টুর্নামেন্টে খেলতে নামলে তাঁর নামের পাশে ফেভারিট তকমা বসে যেত। কিন্তু ইদানীং খারাপ ফর্মের জন্য নোভাক জকোভিচকে টেনিস বিশেষজ্ঞরা সে ভাবে আর খেতাবের দাবিদার ধরছেন না। যে ব্যাপারটা এখন উপভোগ করতে শুরু করেছেন জকোভিচ।
উইম্বলডনে নামার আগে ঘাসের কোর্টে নিজেকে এখন ঝালিয়ে নিচ্ছেন জোকার। যে জন্য ইস্টবোর্ন টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেছেন তিনি। পরপর দু’দিন জিতে সেমিফাইনালেও উঠে গেলেন। বৃহস্পতিবার ৬-২, ৭-৬ হারালেন ডোনাল্ড ইয়ংকে। উইম্বলডনে তিনি দ্বিতীয় বাছাই। কিন্তু তা সত্ত্বেও তো আপনাকে ‘আন্ডারডগ’ ধরা হচ্ছে। যা শুনে জকোভিচ বলছেন, ‘‘ভালই তো। এতে চাপটা একটু কমবে। আমিও নিজের ওপর বেশি প্রত্যাশা রাখতে চাই না। উইম্বলডনে নিজেকে আমি ফেভারিটদের মধ্যে রাখছি না।’’
তবে ফেভারিট হিসেবে নিজেকে না রাখলেও উইম্বলডন ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে যে তিনি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন, তা পরিষ্কার। গত ছ’বছরে উইম্বলডনের আগে কোনও ঘাসের কোর্টের প্রস্তুতি টুর্নামেন্টে খেলেননি জকোভিচ। ফরাসি ওপেন আর উইম্বলডনের মাঝে বিশ্রাম নিতেন। কিন্তু এ বার নেমে পড়েছেন ঘাসের কোর্টের প্র্যাকটিসে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোকে উড়িয়ে ফাইনালে জার্মানি
শোনা যাচ্ছে, আন্দ্রে আগাসিও পুরো উইম্বলডনে থাকতে পারেন তাঁর সঙ্গে। যা নিয়ে জকোভিচ বলেছেন, ‘‘আন্দ্রে আমার খেলার ওপর নজর রাখছে। টিভি-তে ও ম্যাচ দেখছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কে যতটা পারে তথ্য জোগার করছে।’’ কোচ ও ছাত্র সম্পর্কে যে অভিযোগটা উঠছে, তা হল, জকোভিচের কোর্টের পাশে আগাসিকে প্রায় দেখাই যায় না। জকোভিচের বক্তব্য, ‘‘আমরা এক সঙ্গে না থাকলেও আগাসির সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। প্রয়োজনে ও আমাকে টিপস দেয়। আসলে আমাদের সম্পর্কের এটা প্রাথমিক ধাপ। তাই দু’জন দু’জনকে বুঝে নেওয়ার ব্যাপারটা থাকছে। তবে আমাদের বোঝাপড়াটা খুব ভাল ভাবে এগোচ্ছে। যেটা দারুণ ব্যাপার।’’
উইম্বলডন নিয়ে তিনি কী ভাবছেন? জকোভিচ বলছেন, ‘‘আমি একটা একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। কোনও প্রত্যাশা নেই। তবে তার মানে এই নয় যে আমি ট্রফি জিততে চাই না। অবশ্যই চাই। সে জন্যই পেশাদার টেনিস খেলে চলেছি।’’