স্টিভ স্মিথ।—ছবি এএফপি।
অ্যাশেজ সিরিজের পর থেকে স্টিভ স্মিথের বিধ্বংসী ফর্ম দেখে ক্রিকেট মহলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, কী ভাবে আউট করা যায় অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটসম্যানকে? পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার জানিয়েছেন, তিনি বোলার হলে ঠিক কী করতেন স্মিথকে সামলাতে। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি স্মিথের শরীরে আঘাত করে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করতেন।
স্মিথের টেকনিক নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শোয়েব। নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে পোস্ট করা এক ভিডিয়োয় বিস্মিত শোয়েব বলেছেন, ‘‘স্মিথ কী ভাবে এ রকম সফল হচ্ছে ভেবে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। ওর না আছে কোনও টেকনিক, না আছে কোনও স্টাইল। তবে মানছি, সাহসটা আছে। যে কারণে স্মিথ বেশ কার্যকর। বলের কাছে ঠিক পৌঁছে যায়। এই ভাবেই তো মহম্মদ আমিরকে মারল।’’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫১ বলে অপরাজিত ৮০ করেছিলেন স্মিথ।
স্মিথকে থামাতে তিনি নিজে কী কৌশল নিতেন, তাও বলেছেন শোয়েব। ‘‘স্মিথ যদি আমার সময় খেলত, তা হলে নির্ঘাত ওকে আঘাত করতাম (তিন-চার বার তো মুখেই)। ওকে আহত করার চেষ্টা করতাম। তবে এটাও সত্যি, স্মিথকে আঘাত করা বেশ কঠিন। দারুণ খেলছে ও। একেবারে বিরল এক জন ব্যাটসম্যান। স্মিথের প্রতি শুভেচ্ছা রইল।’’
বল বিকৃতি কাণ্ডে এক বছর নির্বাসনে থাকার পরে বাইশ গজে ফিরেছেন স্মিথ। ১১০.৫৭ গড়ে ৭৭৪ রান করেছেন অ্যাশেজ সিরিজে। শুধু লাল বলের ক্রিকেটে নয়, সাদা বলের ক্রিকেটেও সমান দাপট দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। শোয়েব বলছেন, ‘‘ফিরে আসার পরে এখন দারুণ ছন্দে আছে স্মিথ। কেউ কেউ বলেছিল, ও নাকি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু ওদের ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে স্মিথ।’’ ৩৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্মিথের গড় ২৭.৪৮। স্মিথ নিজে বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে আমার ব্যাটিং গড় দারুণ কিছু নয়। তবে আমি নিজের দক্ষতায় আস্থা রাখি।’’