শুরু হচ্ছে আইএসএল-থ্রি। আর এ দেশের সব ফুটবল অনুরাগীর মতো আমিও এই মুহূর্তে বেশ উত্তেজিত । আর তা গোপনও করছি না। আর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ বারের টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হচ্ছে গুয়াহাটিতে। আর ফুটবল নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষ কতটা পাগল তা সকলেই জানেন। আর সেখানেই আজ গড়াতে শুরু করবে আইএসএল-থ্রির বল।
বিশেষ করে এই টুর্নামেন্টে আমি দেখতে মুখিয়ে থাকি মার্কি ফুটবলারদের। টুর্নামেন্টে এই মার্কি ফুটবলার থাকার সঙ্গে গোটা দেশে খেলাটার জনপ্রিয়তা বাড়ানোর একটা সুপ্রচেষ্টা তো রয়েছেই। কিন্তু সঙ্গে এটাও ঠিক, গত দু’মরসুমে এদের অনেকেই কিন্তু সে ভাবে পারফর্ম করতে পারেননি। ফলে বাণিজ্যিক দিক থেকে ওই সব টিমগুলোর প্রাপ্তির ভাঁড়ার খুবই কম। এই বছরেই দেখুন, এফসি পুণে সিটি বেশ সাড়া জাগিয়েই গুডজনসনকে তুলে নিয়ে একটা বড় চমক দিয়েছিল। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগে গোড়ালির চোটে ও ছিটকে গেল। ঠিক যেমন প্রথম বার হয়েছিল দেল পিয়েরোর আর দ্বিতীয় আইএসএলে কলকাতার হেল্ডার পস্টিগার ক্ষেত্রে।
আইএসএলের মজা হল টুর্নামেন্টের ফর্ম্যাটটা। সব কটা টিমই কিন্তু খুব ব্যালান্সড। সকলের সমান শক্তি। এমন কোনও টিম টুর্নামেন্ট শুরুর আগে খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা খুব দুর্বল বা খুব শক্তিশালী। ফলে আইএসএলে কোনও আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। তাই টুর্নামেন্টটেও প্রথম দিন থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে চড়া মাত্রায়।
গত মরসুমে এটিকের সঙ্গে কাজ করেছি। সে বার আমরা প্র্যাকটিস ম্যাচ কম খেলেছিলাম। ফলে শুরুটা ভাল হয়নি। আর এ রকম হলেই খেতাবের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। টিমের আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরে যায় অনেক সময়। আর আট টিমের এই টুর্নামেন্টে কে জানে, যখন আপনার টিম ছন্দ পাবে, তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।