বিসিসিআই-এর অনুষ্ঠানে বিরাট কোহালি।
বুধবারই বিসিসিআই-এর তরফে এসেছে পলি উমরিগর পুরস্কার। সেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের স্বীকৃতি। সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে বিরাট কোহালি। সে ব্যাট হাতেই হোক বা অধিনায়কত্বে। সে টেস্ট ক্রিকেট হোক বা ওয়ান ডে, টি২০। বিরাট কোহালির সাফল্যের জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে গত দেড় বছরে। ২০১৬র শেষে হাতে এসেছে সব ফর্ম্যাটের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। তাতেও তাঁকে কেউ পরাস্ত করতে পারেনি। বরং দায়িত্ব আরও বেশি অভিজ্ঞ করেছে তাঁকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটা হারের পর আবার লড়াই করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় দল, তাঁরই হাত ধরে। সেই বিরাট কোহালি এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে একটাই স্বপ্ন। যা ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছেন তিনি। বিশ্বের সেরা হওয়ার স্বপ্ন।
আরও খবর: বিরাট-স্মিথ দ্বৈরথে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না আইসিসি
সব সময় নিজের মনের কথাই শোনেন বিরাট। কারণ সব জবাবটাই তিনি নিজেকে দিতে চান। অন্য কাউকে না। এটাই হয়তো তাঁর সাফল্যের পথপ্রদর্শক। কোহালিই প্রথম ক্রিকেটার যিনি তিনবার পলি উমরিগর পুরস্কার পেলেন। এবং অধিনায়ক বিরাট কোহালির সাফল্যের জন্য তিনি পুরো দলকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। গত ১২ মাসকে জীবনের সেরা সময় বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘‘শেষ ১০-১২ মাস অপ্রত্যাশিতভাবে ভাল কেটেছে। ২০১৫র শেষে থেকে ২০১৬র শেষ পর্যন্ত, এটাকে আমার জীবনের ব্রেক থ্রু ইয়ার বলতে পারি। সব হার্ড ওয়ার্ক, নিয়মিত ট্রেনিং, ত্যাগ সব একসঙ্গে কাজে লেগেছে ভীষনভাবে। এটা সম্ভব হত না যদি না পুরো দল সমানভাবে লড়াই করত।’’ এই ভারতীয় দলে দেশের এমন কী বিশ্বের সেরারা রয়েছেন। তাঁরা যখন নিজেদের সেরাটা একসঙ্গে দিতে শুরু করেন তখন সাফল্য আসে। এটাই ভারতকে বিশ্বের এক নম্বর দল করেছে। বিরাট অবশ্য মনে করেন এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে দলের ‘কেয়ার ফ্রি’ মানসিকতা। বলেন, ‘‘২০১৫র শেষ থেকে সেই মানসিকতাটা আমরা গ্রহন করেছি। যখন থেকে আমি নিজের উপর চাপ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আমি নিজেকে বলেছি, আমি হার্ড ওয়ার্ক করতে পারি, আমার ট্যালেন্ট রয়েছে ও ক্ষমতা রয়েছে। আমি মাঠে নেমে নিজের খেলাটা খেলব। যদি সুযোগ পাই তা হলে জিতব।’’
আরও খবর: ডিআরএস বিতর্কে দুই অধিনায়কের পাশে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড
এর সঙ্গে বিসিসিআইকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি বিরাট কোহালি। তাঁকে বিসিসিআই যে সুযোগ দিয়েছে সেটা যে তাঁকে সমৃদ্ধ করেছে তাও জানিয়েছন তিনি। জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়াটা সব সময়ই সম্মানের। বিসিসিআই সেই সম্মানই তাঁকে দিয়েছে। বলেন, ‘‘আমি বিসিসিআই-এর প্রতি কৃতজ্ঞ আমাকে এরকম একটা জায়গা দেওয়ার জন্য। আমি এটাকে চাকরি হিসেবে নিই না। এটা একটা সুযোগ আর একটা দায়িত্ব। আমি সঠিক কাজটি করে যেতে চাই। এটা সঠিক উদাহরণ তৈরি করা সঙ্গে সেই পথ গ্রহন করা যাতে পুরো দলের বিশ্বাস থাকবে।’’ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৫ রানে জয় তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাও জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘এটা খুব ভাল আমরা খেলায় ফিরেছি। আমরা সব সময় এক সঙ্গে ছিলাম। এটা খুব স্পেশাল, আমার জীবনের সেরাগুলোর মধ্যে একটি।’’
ছবি: পিটিআই ও এএফপি।