ঋষভ পন্থ।—ছবি এএফপি।
শুধু দুরন্ত একটা জয় পাওয়ার জন্যই নয়, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের নিরিখেও অ্যাডিলেড টেস্ট স্মরণীয় হয়ে থাকবে ঋষভ পন্থের কাছে। টেস্টে ১১টি ক্যাচ নিয়ে তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন বিশ্বরেকর্ড। যে রেকর্ড এত দিন ছিল দুই উইকেটকিপার— দক্ষিণ আফ্রিকার এ বি ডিভিলিয়ার্স এবং ইংল্যান্ডের জ্যাক রাসেলের দখলে। কিন্তু রেকর্ড করেও খুব বেশি উচ্ছ্বসিত নন ভারতের এই তরুণ উইকেটকিপার। বিসিসিআই টিভি-তে এক সাক্ষাৎকারে ঋষভ বলেন, ‘‘রেকর্ডের কথা আমার মাথায় থাকে না। কোনও মাইলফলকও সে ভাবে তাড়া করি না। তবে ক্যাচগুলো ধরতে পেরে ভালই লেগেছে।’’
ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর থেকে ছয়টি টেস্টে ৩১টি ক্যাচ নিয়ে ফেলেছেন ঋষভ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর কিপিং নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এ সবের মধ্যে নিজেকে শান্ত রেখে আসল কাজটা করে যেতে চান এই তরুণ। ওই ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘একজন কিপার হিসেবে সাফল্য পেতে গেলে আপনাকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে।’’
ভারতীয় ক্রিকেটে এখন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উত্তরসূরি হিসেবে উঠে এসেছে ঋষভের নাম। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ভেসে এসেছে, ধোনির কোন জিনিসটা আপনাকে সব চেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে? ঋষভের জবাব, ‘‘ধোনি মাঠে যে রকম উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দেয়, সেটাই আমাকে সব চেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে। আমি শুধু উইকেটকিপার ধোনির থেকেই নয়, মানুষ ধোনির থেকেও অনেক কিছু শিখেছি।’’ ধোনি পাশে থাকলে যে তিনি অনেকটাই নিশ্চিন্ত বোধ করেন, তা জানিয়েছেন ঋষভ। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘ধোনি যখন আমার পাশে থাকে, তখন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকি। জানি, কোনও সমস্যা হলে আমি ধোনির কাছে যেতে পারব। সেই সমস্যাটা নিয়ে কথা বলতে পারব। এমনকি, সঙ্গে সঙ্গে সেই সমস্যার সমাধানও পেয়ে যাই।’’
ঋষভের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ধোনি আর অ্যাডাম গিলক্রিস্ট— এই দু’জনের কিপিং থেকে যদি একটা করে জিনিস আপনার নিজের খেলায় দেখতে চান, তা হলে সেগুলো কী হবে? ঋষভের জবাব, ‘‘ধোনির স্টাম্পিং আর গিলক্রিস্টের ক্যাচিং। এই দু’টো জিনিসই আমার খুব পছন্দ।’’
ভারতের অনুশীলন শুরুর আগে মাঝে মাঝেই দেখা যায় ডিগবাজি খাচ্ছেন ঋষভ বা স্রেফ হাতে ভর করে চলছেন। আপনি কোথায় শিখলেন এ সব? ঋষভ বলেন, ‘‘আমি যখন ছোট ছিলাম, হোস্টেলে থাকতাম। ওই সময়ই জিমন্যাস্টিক্স শিখেছিলাম।’’