স্টিভ ও’কিফ। ছবি: এএফপি।
ও’কিফের দুরন্ত সাফল্যের পর বিশ্ব জুড়ে এখন তাঁকে নিয়েই সব আলোচনা। ভারতের মাটিতে ভারতীয় ব্যাটিংকে দাঁড়াতেই দেয়নি কিফের বল। এক ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে তিনিই কেড়ে নিয়েছেন লাইম লাইটের সবটাই। সেই কিফের উত্থানের পিছনে রয়েছেন এক ভারতীয় স্পিনার। ম্যাচ জিতেই সে কথা জানিয়েও ছিলেন স্টিভ কিফ।
সোমবার সেই ছাত্রকে নিয়ে মুখ খুললেন অস্ট্রেলিয়া দলের স্পিন বোলিং কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। নতুন বলে শুরুটা একদমই ভাল ছিল না ও’কিফের। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের পর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। রাস্তা দেখিয়েছিলেন তিনিই। শ্রীরাম বলছিলেন, ‘‘লাঞ্চের সময় আমি নেমে আসি নীচে। জানতাম ও খুব একটা ভাল নেই। সামনেই ঘুরছিল। কিন্তু, বুঝতে পারছিলাম না ওই সময় ওর সঙ্গে কথা বলা যায় কী না! স্বাভাবিক ভাবেই কথা শুরু হয়। আমাকে বলে, কিছুটা নার্ভাস ছিল শুরুতে। নিজের মতোই বল করছে, যে ভাবে অস্ট্রলিয়ায় করে।’’ যেটা ক্লিক করছিল না।
আরও খবর: ও’কিফের ছন্দ ভাঙতে হবে ভারতকে
ছাত্রকে ছটফট করতে দেখে এগিয়ে আসেন শ্রীরাম। বুঝতে পারেন বোলিং নিয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন ও’কিফ। ছাত্রের কাছেই তিনি জানতে চান, কিফ এই উইকেট নিয়ে কী ভাবছেন। প্রশ্ন করেন, ‘‘কী মনে হয়, এই উইকেটে তোমার কী করা উচিত?’’ জবাবে কিফ বলেন, ‘‘আমাকে আর একটু দ্রুত এবং রাউন্ডার করতে হবে।’’ তা শুনে শ্রীধরন বলেন, ‘‘মাঠে গিয়ে ঠিক যেটা ভাবছ সেটাই করো।’’ টুকরো টুকরো কয়েকটি শব্দই বদলে দিয়েছিল কিফের বোলিং। লাঞ্চের পরের অংশটুকু ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ইতিহাসে লেখা থাকবে। শ্রীধরনের মতে, উনি যেটা ভেবেছিলেন সেটা মাঠে নেমেই প্রমাণ করেছেন। তবে তাঁর মতে, ওঁর ধৈর্য্য আরও বাড়াতে হবে। কারণ, দুই ইনিংসেই একই ভাবে বল করেছিলেন কিফ। কিন্তু, এই ৩৫ রানে ৬ উইকেট প্রতি দিন ধরে রাখা সহজ নয়। শ্রীধরনের মতে, কিফ এখন পুরোপুরি তৈরি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার জঘন্য খেলা পুরো দলকে চাগিয়ে দিয়েছে। এই দলে তাঁর ভূমিকা নিয়ে শ্রীধরন বলেন, ‘‘শুধু যে স্পিনারদের সঙ্গে এমনটা নয়, আমি সকলের সঙ্গেই কথা বলি। দলের হেড কোচের কাছ থেকে এই স্বাধীনতাটা আমি পেয়েছি। আমি যদি মনে করি, কেউ কিছু পারবে, তা হলে তাঁকে গিয়ে সেটা বলি। এর পর সে সেই উপদেশটা নেবে কি না সেটা তার উপর নির্ভর করে।’’ তবে ও’কিফ যে পুরোপুরি শ্রীধরনের পরমার্শ নিয়েছেন, তার প্রমাণ পেতে শুরু করে দিয়েছে তার প্রতিপক্ষ।