কার্স্টেন জমানায় সচিনের পুনরুজ্জীবন হয়েছিল। —ফাইল চিত্র।
গ্যারি কার্স্টেনের কোচিংয়ে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। শুধু ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করানোই নয়, সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ার পুনরুজ্জীবিত হয় কার্স্টেনের সময়ে।
২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে ভারত ছিটকে যাওয়ার পরে সচিন স্থির করেছিলেন অবসর নেবেন। ভিভ রিচার্ডসের একটা ফোনে সিদ্ধান্ত বদলেছিলেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’। কার্স্টেন ভারতের কোচ হয়ে এসে সচিনকে ব্যাটিংয়ের ভাল পরিবেশ দেন। তার পরের ঘটনা তো ইতিহাস।
প্রাক্তন প্রোটিয়া বলছেন, ‘‘আমি যখন কোচিং করানোর জন্য ভারতে এসেছিলাম, তখন সচিনের কথা মনে মনে ভাবছিলাম। আমি শুনেছিলাম, ও খেলা ছেড়ে দিতে চাইছে। সচিনের নিজের কথায়, ও ঠিকমতো ব্যাটিং পজিশন পাচ্ছিল না। খেলাটাকেও আর উপভোগ করছিল না। তার পরের তিন বছরে ১৮টি সেঞ্চুরি করেছিলেন সচিন। যেখানে খেলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করত, সেখানেই খেলত। দেশের মাটিতে ভারতের বিশ্বকাপ জেতার পিছনে সচিনের যথেষ্ট অবদান ছিল।’’
আরও পড়ুন: ‘গেল বা এবি-র মতো ক্ষমতা নেই, কালিস বা লারার মতোও নয় বিরাট’
কার্স্টেনের কোচিংয়ে সচিনের ব্যাটিংয়ের অনেক পরিবর্তন হয়। ২০০৮ থেকে ২০১১-এর মধ্যে এক দিনের আন্তর্জাতিকে ২,১৪৯ রান করেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’।
সাতটি সেঞ্চুরি করেছিলেন সচিন। কার্স্টেন বলছেন, ‘‘আমি সচিনের খেলায় কোনও পরিবর্তন আনিনি। কারণ খেলাটা ও জানে। সচিন যাতে ভাল খেলতে পারে, তার জন্য ভাল পরিবেশ দেওয়াই ছিল আমার কাজ।’’
কার্স্টেন সেই কাজটাই করেছিলেন। আর সচিনের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে পেরেছিলেন।