দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ভারতকে জয়ের রাস্তায় নিয়ে গিয়েছিল তাঁর সেঞ্চুরি। যেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজও দখল করে নেয় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টিম। ইংরেজদের ঘরের মাঠেই ধরাশায়ী করার পর এ বার তাঁর--- সুরেশ রায়নার সেই সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন কোচ দীপক শর্মা।
রায়নার কোচ বলেছেন, ইংল্যান্ডে ওয়ান ডে সিরিজে নামার আগে হকি টার্ফে প্র্যাকটিস করাটাই কাজে লেগে গিয়েছে। “রায়নার ব্যাটিং টেকনিক নিয়ে আগে অনেক কথা হয়েছে। ওকে আউট করার জন্য নাকি পেসাররা বাউন্সার দিলেই কাজ হয়ে যাবে। এখন কিন্তু বাউন্সার ওকে সহজে বিপদে ফেলতে পারছে না। নিজের ব্যাটিংয়ের দুর্বলতাটা ও ধরতে পেরে সেটা কাটাতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে। হকি টার্ফে প্র্যাকটিস করাটা ওকে প্রচুর সাহায্য করেছে।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “ইংল্যান্ড সিরিজে রওনা হওয়ার ১৫ দিন আগে রায়না এখানকার গুরু গোবিন্দ সিংহ স্পোর্টস কলেজে প্র্যাকটিস করতে আসে। এই কলেজে একটা অ্যাস্ট্রোটার্ফও রয়েছে। যেখানে বল প্রচণ্ড বাউন্স করে। সেখানেই প্রচুর সময় দিয়েছে।”
শুধু প্র্যাকটিস করাই নয়, তার সঙ্গে সঠিক মানসিকতা আর নিষ্ঠাটাও ছিল। সেটাই ইংল্যান্ডে রায়নাকে সফল হতে সাহায্য করে বলে মনে করেন তাঁর কোচ। “প্র্যাকটিসে ওর আত্মবিশ্বাস দেখে আমি বুঝতে পারি কিছু একটা নতুন হতে চলেছে। সেটাই হল। ইংল্যান্ডের গ্রিনটপে দেখুন কী ভাবে ও শর্ট পিচ বলের বিরুদ্ধে একেবারে অন্য প্লেয়ার হিসেবে উঠে এল,” বলেন তিনি।
দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে ভারতের এক সময় ২৬ রানে দু’উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে আক্রমণাত্মক সেঞ্চুরিতে (১০৬ বলে ১০০) টিম ইন্ডিয়াকে জেতান রায়না। তবে এই সাফল্যের পর এ বার শুধু চলতি সিরিজেই নয়, আরও নতুন মাইলস্টোন গড়বেন উত্তরপ্রদেশের অলরাউন্ডার বলে মনে করেন তাঁর কোচ। তিনি বলে দেন, “প্লেয়ার হিসেবে রায়নার পরিণতবোধ এখন এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। ওর এখনকার পারফরম্যান্স টেস্ট টিমে সুযোগ এনে দিতে পারে। তবে আমার মতে ওর এই মানসিকতা আর ছন্দটা তার জন্য বজায় রাখতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে না হাঁটাই ভাল।”
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “ও সাধারণত আক্রমণাত্মক প্লেয়ার। এই মানসিকতাটাও বদলানো উচিত হবে না। তা ছাড়া বোলার হিসেবেও তো পরিণত হয়ে উঠেছে। ব্যাটসম্যানের মাইন্ডসেটটাও ধরতে পারে। আমি তাই সব সময় ওকে বলি ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে বোলিংটা তোমার একটা প্লাস পয়েন্ট।”