আলোচনা: প্র্যাক্টিসের ফাঁকে ঋদ্ধি-ডিন্ডা-মনোজ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
মহম্মদ শামি এবং অশোক ডিন্ডার গোপন অস্ত্র কী, তিনি জানেন বলেই দাবি করছেন হিমাচল প্রদেশের ট্রিপল সেঞ্চুরির মালিক প্রশান্ত চোপড়া। বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলা বনাম হিমাচল প্রদেশের রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ। মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে তিনি বলেন, ‘‘শামি আর ডিন্ডার খেলা আমি অনেক দেখেছি। ওরা কোন জায়গায় বল করে তাও আমি জানি। তবে উইকেটে ঘাস রয়েছে এবং ওদের বলে ভাল পেস আছে। টসে জিতে ব্যাট করলে প্রথম এক ঘণ্টা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিজে সময় কাটিয়ে নিলেই এই উইকেটে খেলা সহজ হয়ে যাবে।’’
এই মরসুমের হিমাচল প্রদেশের ৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। প্রশান্ত খেলেছেন দু’টি। চার ইনিংসে প্রশান্তের রান ৪১৫। পঞ্জাবের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে তাঁর ট্রিপল সেঞ্চুরি এবং সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে একটি হাফ সেঞ্চুরির মালিক এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। ইডেনে বাংলার বিরুদ্ধে খেলা খুব একটা সহজ নয় বলেই মনে করেন তিনি। সবুজ উইকেটে নতুন বল সামলানো তো কঠিনই, তার উপর বিপক্ষে শামি ও ডিন্ডার মতো পেস বোলার থাকলে তাঁরা ব্যাটসম্যানের মানসিকতায় বেশ প্রভাব ফেলতে পারে। প্রশান্ত অবশ্য বলছেন, ‘‘গ্রিন-টপ উইকেটেই পঞ্জাবের বিরুদ্ধে আমি ৩৩৮ করেছি। এই উইকেটে ব্যাটসম্যানরা পরাস্ত হতেই পারে। তবে ভয় পেয়ে নেতিবাচক হয়ে পড়লে চলবে না। পরের বল খেলার আগেই তা মাথা থেকে সরিয়ে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। ইডেনের আউটফিল্ড খুবই দ্রুতগামী। ফিল্ডারদের মধ্যে ফাঁক পেলেই চার রান নিশ্চিত।’’
হিমাচল প্রদেশের হয়ে শহরে খেলতে এসেছেন বীরেন্দ্র সহবাগের ভাগ্নে ময়ঙ্ক ডগর। মামা ওপেনিং ব্যাটসম্যান হলেও ভাগ্নে বোলিং-অলরাউন্ডার, বাঁ-হাতি স্পিনার। যদিও এই মরসুমের রঞ্জি ট্রফিতে একটিও উইকেট পাননি তিনি। মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে ময়ঙ্ক বলছিলেন, ‘‘সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে আমরা জিতে কলকাতায় খেলতে এসেছি। দলের মনোবল এখন বেশ তরতাজা। শেষ মরসুমে কেরলের বিরুদ্ধে এই মাঠেই আমরা জিতেছি। ইডেন আমাদের খুব প্রিয় মাঠ।’’
সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘সবুজ উইকেট থাকলে বাঁ-হাতি স্পিনারদের ক্ষেত্রে সুবিধেই হয়, আমারও হবে। ডান-হাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে একটি বল ঘোরে তো অন্যটি ভিতরে ঢোকে। আমি চেষ্টা করব নিয়ন্ত্রণ রেখে বোলিং করার।’’
প্রশান্তের ঝুলিতে রান থাকলেও ময়ঙ্কের কাছে রঞ্জি ট্রফির এই মরসুম নিজেকে প্রমাণ করার এক বড় সুযোগ। অন্য দিকে সবুজ পিচে বল করার জন্য ছটফট করছেন বাংলার দুই পেসার শামি ও ডিন্ডা। সব মিলিয়ে জমজমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষা ইডেনে।