হিমা দাস।
প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে বিশ্ব জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স মিটে ঠিক দু’বছর আগে সোনা জিতে নজির গড়েছিলেন তিনি। বর্তমানে করোনাভাইরাসের অতিমারির জন্য ভারতীয় স্প্রিন্টার হিমা দাস এখনও অলিম্পিক্সের যোগ্যতামান অর্জন করতে পারেননি। কিন্তু তা নিয়ে চিন্তিত নন অসমের এই অ্যাথলিট।
নিজেকে ফিট রাখতে পাটিয়ালার জাতীয় শিবিরে ক্রিকেট খেলে ও সাইকেল চালিয়েই নিজেকে ফিট রাখছেন হিমা।
সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে সামনে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। তার ফলে অনুশীলন সে ভাবে হচ্ছে না। মাঝারি অনুশীলন করেই নিজেকে ফিট রাখছি। দেখা যাক, কবে থেকে পুরোদমে অনুশীলন করতে পারি!’’ যোগ করেছেন, ‘‘পাটিয়ালায় এই মুহূর্তে খুব গরম। তাই সকালেই অনুশীলন হচ্ছে। বিকেলে অবসর পাওয়া যায়। তখন ভেলোড্রোমে গিয়ে সাইকেল চালিয়ে কিংবা ক্রিকেট মাঠে বোলিং করে নিজেকে ব্যস্ত রাখি।’’
৪০০ মিটারে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলিট আরও বলছেন, ‘‘জীবনকে নিয়মের মধ্যে রেখে যতটা উপভোগ করা যায়, ততটাই করি। আমার মূলমন্ত্র হল সব সময়ে ইতিবাচক ও খুশি থাকা।’’
করোনা অতিমারির কারণে এক বছর পিছিয়ে গিয়েছে টোকিয়ো অলিম্পিক্স। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে অ্যাথলেটিক্সের সমস্ত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাও। যে প্রসঙ্গে ‘ধিং এক্সপ্রেস’-এর মন্তব্য, ‘‘অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কারণ এতে উৎকণ্ঠা বাড়ে। এখনও সময় রয়েছে। আগে এই অতিমারির কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য প্রার্থনা করছি।’’ যোগ করেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ১ ডিসেম্বর থেকে ফের অ্যাথলেটিক্স শুরু হতে পারে। তখন আগামী বছর অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের জন্য অনেক সময় পাওয়া যাবে।’’
৪০০ মিটারে এই মুহূর্তে জাতীয় রেকর্ড (৫০.৭৯ সেকেন্ড) হিমার দখলে। গত বছরে চোটের কারণে ছন্দে ছিলেন না। ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল ৪০০ মিটারের পরিবর্তে ২০০ মিটারে নামতে পারেন তিনি। যে প্রসঙ্গে হিমার মন্তব্য, ‘‘চোট সেরে হিয়েছে। আমি কোন ইভেন্টে দৌড়াব, তা ঠিক করবে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা ও আমার কোচ।’’