স্ত্রী তিতিলায়োর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল নায়ক।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র পাঁচ দিন আগে স্ত্রী তিতিলায়োকে ‘উপহার’ পাঠালেন র্যান্টি মার্টিন্স! লাজং ম্যাচে করা হ্যাটট্রিকই সেই উপহার। নিজেই জানাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের গোলমেশিন।
মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল-লাজং ম্যাচের আগে র্যান্টিকে গোল করার জন্য নাইজিরিয়া থেকে ফোন করে উৎসাহিত করেছিলেন স্ত্রী তিতিলায়ো। আই লিগের শেষ দু’ম্যাচে গোল পাননি র্যান্টি। সে জন্য নাইজিরিয়া থেকে ফোনে আবদার করেছিলেন গোলের। বুধবার সকালে জানিয়ে খুশিতে ভাসতে থাকা র্যান্টি বললেন, ‘‘আমার খারাপ সময়ে তিতিলায়ো ভীষণ ভাবে উজ্জীবিত করেছে। বারবার ফোন করে আমাকে মোটিভেট করেছে। উৎসাহ দিয়েছে। সে জন্য ওকে এই হ্যাটট্রিকটা ভ্যালেন্টাইন্স ডে গিফট দিচ্ছি। ফোনে সেটা বলেও দিয়েছি।’’
জাতীয় লিগ ও আই লিগ মিলিয়ে ডেম্পোকে মোট পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন করেছেন র্যান্টি। সে জন্য বোধহয় ডেম্পোর কোচ, ফুটবলারদের একটু বেশি মিস করেন লাল-হলুদের স্ট্রাইকার। কিন্তু কলকাতায় এসে এখনও পর্যন্ত এই ট্রফি অধরা রয়ে গিয়েছে। এ দিন সেই আক্ষেপটা আরও একবার শোনা গেল র্যান্টির গলায়, ‘‘গোয়ায় ডেম্পোতে আমি সেরা সময় কাটিয়ে এসেছি। এখানে এসে এক বারও আই লিগ জিততে পারিনি। এ বার যদি ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারি, তবে কলকাতার টিমে খেলে আই লিগ না পাওয়ার আক্ষেপ মিটবে।’’
ভারতে দীর্ঘ দিন খেলছেন নাইজিরিয়ান এই স্ট্রাইকার। কিন্তু তাঁর সঙ্গে জুটি হিসেবে কার্লোস হার্নান্ডেজকেই সেরা বলছেন র্যান্টি। ‘‘বহু ভাল ফুটবলারের সঙ্গে খেলেছি। বেটোর সঙ্গে আমার বোঝাপড়া বেশ ভাল ছিল। তবে ইউনাইটেড স্পোর্টসে থাকার সময়ে কার্লোস আর আমার জুটিটা সবচেয়ে বেশি জমেছিল। মেন্ডি সবে এসেছে। ওর সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি হতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।’’ ২১ ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ। বারাসতে সালগাওকরের সঙ্গে। তাই ফুটবলারদের বিশ্রাম দিতে চার দিন ছুটি দিয়েছেন কোচ বিশ্বজিৎ।
তবে লাজংকে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল যতই স্বস্তিতে থাকুক, এ দিন ডিএসকে শিভাজিয়ান্সকে ৪-১ হারিয়ে লিগ তালিকায় শীর্ষে ফিরে এল বেঙ্গালুরু। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৫। গোল করেন সুনীল ছেত্রী, সং ইয়াং, সামপিঞ্জিরাজ এবং লেন। ডিএসকে-র একমাত্র গোলটি কুট্টিমানির।