প্রত্যাবর্তন: চোট সারিয়ে দলে ফেরার পথে হার্দিক। ফাইল চিত্র
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ হার আমাদের একটা ব্যাপার খুব ভাল করে বুঝিয়ে দিয়েছে। ছ’নম্বরে একজন সত্যিকারের অলরাউন্ডার কতটা প্রয়োজন, তা সবাই নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন। হার্দিক পাণ্ড্যের ফিরে আসাটা তাই ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে খুবই ভাল খবর। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— তিন বিভাগই শক্তিশালী হবে হার্দিক ফিরে আসায়। আশা করব, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সংক্ষিপ্ত এই সিরিজে নিজেকে ফের প্রমাণ করতে পারবে এই তরুণ অলরাউন্ডার।
এই তিনটে ওয়ান ডে ম্যাচ এবং তার পরে আইপিএলের লড়াইয়ের পরেই পরিষ্কার হয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ১৫ জন কারা হতে চলেছে। রোহিত শর্মাকে ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে এটাই সেরা দল যা নির্বাচকেরা বাছতে পারতেন। পরিশ্রমের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারটা গুরুত্ব পাওয়ার জন্য এখন দু’-এক জন ক্রিকেটারের বিশ্রামে থাকাটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমার মতে, ছ’নম্বর জায়গার জন্য হার্দিককে পাকাপাকি বেছে নেওয়া হোক। রবীন্দ্র জাডেজা আসুক সাতে। এর পরে চার জন বিশেষজ্ঞ বোলার। তা হলে অধিনায়কের হাতে ছ’নম্বর বোলারও এসে যাবে। ব্যাটিং অর্ডারে মাঝে মাঝে কাউকে সামনে তুলে এনে বিপক্ষকে চমকে দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাস বলছে একটা গোছানো ব্যাটিং লাইন হলে তার সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনাটা বেড়ে যায়।
এক বার হার্দিক আর জাডেজাকে ওদের ভূমিকাটা বুঝিয়ে দিলে ভারত আবার জয়ের রাস্তায় ফিরবে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দল সে রকম ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। এর অনেকগুলো কারণ আছে। কিন্তু হার্দিক, জাডেজা একসঙ্গে খেললে দলের ভারসাম্য কিছুটা ঠিক হবে। এই দু’জনের কাছ থেকে সেরা ক্রিকেটটা বার করে আনার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে যা করা দরকার, তা করতে হবে। এমনিতে ভারতের প্রথম দিকের ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা নেই। চারে কে এল রাহুল, পাঁচে শ্রেয়স আইয়ার। এর পরে রিজার্ভে থাকছে মণীশ পাণ্ডে। বোলারদের মধ্যে চোট সারিয়ে দলে ফিরেছে ভুবনেশ্বর কুমার। এতে বিকল্পও বেড়ে গিয়েছে। ভুবির গতি হয়তো বিশাল কিছু নয়। কিন্তু দারুণ সুইং এবং শেষের দিকে নিখুঁত ইয়র্কার করার ক্ষমতা আছে ওর। ভুবনেশ্বর দলে আসায় বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র বেড়ে যাবে। দক্ষিণ আফ্রিকা দলটাকে হাল্কা ভাবে নিলে কিন্তু ভুল হবে। অতীতে ভারতের মাটিতে সাদা বলের ক্রিকেটে ওরা ভালই করেছে। ভারত কিন্তু বেশ পরীক্ষার মুখে পড়বে। সিরিজটা দারুণ জমে যাবে বলে মনে হচ্ছে। হার্দিকের প্রত্যাবর্তন কী রকম হয়, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকছি।
আমার পছন্দের এগারো হল: শিখর ধওয়ন, পৃথ্বী শ, বিরাট কোহালি, কে এল রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার, হার্দিক পাণ্ড্য, রবীন্দ্র জাডেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চহাল, যশপ্রীত বুমরা এবং নবদীপ সাইনি। (টিসিএম)