তাইজুল ইসলামের বলটা প্যাডল করে ধীরে সুস্থে এক, দু’নম্বর রানটা নিলেন তিনি। শান্ত ভাবে হেলমেটটা খুলে, ব্যাটটা তুললেন, হাসিতে ভরে গেল মুখটা। ভাবভঙ্গি দেখে কে বলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে প্রথম বার পাকিস্তানের দাপটের দৃশ্যটা দেখা গেল। যা এল তাঁর প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরির উপর ভর করে। তিনি— মহম্মদ হাফিজ।
গত দিনের শেষে তাঁর নামের পাশে ছিল ১৩৭ রান। আগেও দু’বার ডাবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন টেস্টে। কিন্তু ১৯৬ আর ১৯৭ রানে থেমে যেতে হয়েছিল। এ বার আর কোনও ঝুঁকি নেননি হাফিজ। ১৯৮ থেকে সেঞ্চুরির দু’রান করতে হাফিজ নিলেন ১১ বল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনও পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। হাফিজের যে নজির তাঁর দলকেও প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রান টপকাতে সাহায্য করে। ২২৪ রানে হাফিজ ফেরার পর ক্যাপ্টেন মিসবা উল হক (৫৯), আসাদ শফিক (৫১ ব্যাটিং) আর সরফরাজ আহমেদ (৫৪ বলে ৫১ ব্যাটিং) হাফসেঞ্চুরি করেন। তৃতীয় দিনের শেষে যে ব্যাটিং দাপটে পাকিস্তান পৌঁছে যায় ৫৩৭-৫। এগিয়ে ২০৫ রানে।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে চিন্তার সাকিব আল হাসানের (৩১-১-১২২-০) বোলিং। শেষ বার টেস্টে এই মাঠেই ১০ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। এই টেস্টে তাঁর ধারেকাছেও যেতে পারলেন কোথায়! ধীর গতির উইকেটে চতুর্থ দিন টাইগারদের দাপট না ফিরলে সাকিবদের ম্যাচে ফেরার আশাও শেষ।
পাকিস্তানে খেলবে জিম্বাবোয়ে
শ্রীলঙ্কা টিমের উপর লাহৌরে জঙ্গি হানার পর থেকে গত ছ’বছরে প্রথম আন্তর্জাতিক টিম হিসাবে পাকিস্তান সফরে করতে চলেছে জিম্বাবোয়ে। ২০০৯-এ লাহৌরে জঙ্গিরা গুলিগোলা চালিয়েছিল শ্রীলঙ্কার টিম বাসের উপর। জিম্বাবোয়ে খেলবে সেই লাহৌরেই। ২৪ মে থেকে শুরু হচ্ছে সফর। দু’টি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি এক দিনের ম্যাচ। ঠিক কী শর্তে জিম্বাবোয়ে টিম পাঠাতে রাজি হয়েছে সেটা পুরোপুরি জানা না গেলেও পাক বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, জিম্বাবোয়ের প্রত্যেক ক্রিকেটারের দৈনিক ভাতা, ম্যাচ ফি এবং অন্যান্য খরচ পাকিস্তান বোর্ড বহ করবে, এই শর্তেই নাকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে পাকিস্তানে।