হাবাসের ‘গুরু’ এখন গোয়া

দিল্লি থেকে এক গোলে হেরে ফিরতে হয়েছিল। ফিরতি সেমিফাইনালে সেই দিল্লি ডায়নামোসকে তিন গোলে হারিয়ে (সব মিলিয়ে ৩-১) আইএসএল টু-র ফাইনালে চলে গেল এফসি গোয়া। যা চব্বিশ ঘণ্টা পরেই আটলেটিকো কলকাতার প্রেরণা হতেই পারে। সে যতই জিকোর গোয়ার প্রত্যাবর্তনের অঙ্কটা হাবাসের কলকাতার চেয়ে সহজ থাকুক না কেন!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:০৯
Share:

নায়ক ডুডু। ছবি আইএসএল

দিল্লি থেকে এক গোলে হেরে ফিরতে হয়েছিল। ফিরতি সেমিফাইনালে সেই দিল্লি ডায়নামোসকে তিন গোলে হারিয়ে (সব মিলিয়ে ৩-১) আইএসএল টু-র ফাইনালে চলে গেল এফসি গোয়া। যা চব্বিশ ঘণ্টা পরেই আটলেটিকো কলকাতার প্রেরণা হতেই পারে। সে যতই জিকোর গোয়ার প্রত্যাবর্তনের অঙ্কটা হাবাসের কলকাতার চেয়ে সহজ থাকুক না কেন! কিন্তু দু’টোর পরিপ্রেক্ষিত তো একই।

Advertisement

ফতোরদায় ঘরের মাঠে গোয়া পাল্টা আক্রমণে পেড়ে ফেলল দিল্লিকে। দুই কিংবদন্তি ব্রাজিলীয়র কোচিং লড়াইয়ে জিকোর অভিজ্ঞতার কাছে হার মানলেন রবের্তো কার্লোস। এ দিন ফরোয়ার্ড লাইন আর মাঝমাঠ মিলিয়ে একসঙ্গে পাঁচটা পরিবর্তন করেন জিকো। আক্রমণে সাবিথ আর রেইনাল্ডোকে বসিয়ে ডুডু আর রাফায়েল কোয়েলহোকে নামান। জিকোর পরিকল্পনা সফল করে দু’জনই গোল করেন। ডুডু-রাফায়েল যুগলবন্দিকে ভয়ঙ্কর করে তুলতে মাঝমাঠ থেকে দেদার বল বাড়িয়ে যান মন্দার রাও দেশাই, বিক্রমজিৎ, রোমিও ফার্নান্ডেজ, জোফ্রেরা। জোফ্রে ছাড়া মাঝমাঠের বাকি তিন জনই প্রথম লেগ সেমি‌ফাইনালে প্রথম এগারোয় ছিলেন না। এ দিন গোলের খাতা খোলেন জোফ্রেই।

জিকোর টার্গেট ছিল শুরু থেকেই আক্রমণের পথে হেঁটে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোল তুলে নেওয়া। এবং ১১ মিনিটেই সেটা হয়ে যায়। জোফ্রের গোল দু’পর্বের স্কোরলাইনকে ১-১ করে ফেলে। ঘরের মাঠে সমর্থকদের শব্দব্রহ্মে আরও তেড়েফুঁড়ে গোয়া আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল রাফায়েলের সৌজন্যে। আর ৮৪ মিনিটে ডুডুর ৩-০ করাটা যেন জিকোর দলের কাছে কেকের উপর ‘আইসিং’! এর উপর আবার দিল্লির তুলুঙ্গাকে হলুদ কার্ড দেখালে রেফারির উপর মেজাজ হারিয়ে লালাকার্ড দেখেন সতীর্থ আদিল নবি। যদিও তিনি রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন।

Advertisement

ক্রিসমাস আর দূরে নয়। গোয়ায় এমনিতেই এখন উৎসবের রং। যাকে এ দিন আরও গাঢ় করে তুলল এফসি গোয়া। ২০ ডিসেম্বর ফতোরদাতেই ফাইনাল। জিকো-ডুডুরা আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জেনে যাবেন সেই চূড়ান্ত যুদ্ধ কাদের সঙ্গে। হাবাস, না মাতেরাজ্জি বিগ্রেড?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement