মুম্বই শিকার করে সিংহদের তিনে তিন

কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব। রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস। এ বার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল নাইনে সিংহদের তৃতীয় শিকার। তিনে তিন করে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখে দিল সুরেশ রায়নার গুজরাত লায়ন্স।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন,

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৪
Share:

ফিঞ্চ। হাফ সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক।

কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব। রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস। এ বার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল নাইনে সিংহদের তৃতীয় শিকার। তিনে তিন করে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখে দিল সুরেশ রায়নার গুজরাত লায়ন্স।

Advertisement

ওয়াংখেড়ে-থ্রিলারে শেষ বল পর্যন্ত নাটক গড়াল। তাতেও নিজেদের স্নায়ু সামলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৩ উইকেটে হারাল গুজরাত। ফের শিরোনাম ছিনিয়ে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার সেই হার্ডহিটার। আরও ভাল করে বললে অ্যারন ফিঞ্চ। যাঁর বিধ্বংসী ৬৭ ন.আ. শনিবার গুজরাতকে জয়ের হ্যাটট্রিক এনে দিল। আর সেই মুহূর্তে নিজের বুক চাপড়াচ্ছেন ফিঞ্চ। মুখে তৃপ্তির হাসি। টানা তিন ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করে যিনি গৌতম গম্ভীরকে তাড়া করছেন কমলা টুপির জন্য। সঙ্গে আবার আইপিএল ইতিহাসে তৃতীয় ক্রিকেটার হলেন যিনি টানা তিনটে ম্যাচে সেরা নির্বাচিত। ‘‘খুবই ভাল লাগছে দলকে সাহায্য করতে পেরে। ঠিক করে রেখেছিলাম আজ শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকব। আর সেটা করতে পেরে ভাল লাগছে,’’ হাসতে হাসতে বললেন ফিঞ্চ। নিজের বিধ্বংসী ইনিংসে সাতটা বাউন্ডারি মারলেন ফিঞ্চ। ফিঞ্চের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গুজরাত অধিনায়ক সুরেশ রায়নাও। ‘‘ফিঞ্চের ফিটনেস দারুণ। ও এখন ভাল অবস্থায় আছে। দারুণ ইনিংস খেলল,’’ বলছেন রায়না।

এ দিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত। শেষ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেও এ দিন ৭ রানের বেশি করতে পারেননি মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার পরে কোনও বড় পার্টনারশিপ তৈরি হওয়া তো দূরের কথা, মুম্বইয়ের একটার পর একটা উইকেট পড়তে থাকে। এক সময় মুম্বই ৯৯-৭ ছিল। হার্দিক পাণ্ড্য এ দিনও ভাল খেলতে না পারলেও তাঁর ভাই ক্রুনাল সাহায্য করলেন মুম্বইকে লড়াকু টোটালে পৌঁছতে। টিম সাউদির সঙ্গে তাঁর ৪২ রানের পার্টনারশিপ মুম্বইকে ১৪৩-৮ করতে সাহায্য করে।

Advertisement

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬৫ রানের মধ্যে গুজরাত হারায় ম্যাকালাম ও রায়নার মতো দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানকে। নিউজিল্যান্ড পেসার মিচেল ম্যাকক্লেনাঘানের দুর্দান্ত স্পেলে ইনিংসের মাঝপথে অক্ষদীপ, ফকনার, প্রবীণ কুমাররা ডাগআউটে ফেরেন। তবে উইকেট পড়তে থাকলেও ফিঞ্চ বজায় রাখেন রান রেট। শেষ ওভারে জিততে বাকি ছিল ১১ রান। ধবল কুলকার্নির একটা বাউন্ডারি একটু হলেও চাপ কমায় গুজরাতের উপরে। ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছে ২ বলে বাকি থাকে ৩ রান। আর ফিঞ্চ কাজটা শেষ করে দিয়ে আসেন। মুম্বইয়ের হারের কারণ হিসেবে ব্যাটসম্যানদের দায়ী করে রোহিত বলেন, ‘‘ব্যাটসম্যানদের আরও রান তোলা উচিত ছিল। বিশেষ করে টপ অর্ডারের। ১৫০-র উপর রান তুললে অনেক বেশি সুবিধা হত। তাও আমার বোলাররা ভাল খেলেছে। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। এখন এই হারের কথা ভুলে এগিয়ে যেতে হবে।’’

আরও পড়ুন:
আইপিএলের সময়সূচি
আইপিএলের পয়েন্ট টেবল

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement