নজরে: স্মিথের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিেয় চর্চা চলছে। ফাইল চিত্র
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে যখন বল বিকৃতি বিতর্কের ছায়া, তখন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট উত্তপ্ত হল বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে। যে অভিযোগের লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক এবং বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর
গ্রেম স্মিথ।
স্মিথের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি এক কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। সেই ক্রিকেটারের নাম থামি সোলেকিলে। এই অভিযোগ এনেছেন আর এক কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার, লনওয়াবো সতসবে। এই প্রাক্তন বাঁ-হাতি পেসারের অভিযোগ, ২০১২ সালের ইংল্যান্ড সফরের একটি ম্যাচে উইকেটকিপার সোলেকিলের অন্তর্ভুক্তি আটকে দেন স্মিথ। তিনি এও অভিযোগ করেন, সোলেকিলেকে নেওয়া হলে স্মিথ অবসরের হুমকি দিয়েছিলেন।
সতসবের অভিযোগ, ওই সফরে মার্ক বাউচারের বিকল্প উইকেটকিপার হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সোলেকিলে। এর পরে বাউচার চোট পেয়ে গেলেও সোলেকিলেকে খেলানো হয়নি। তাঁর জায়গায় উইকেটকিপার হিসেবে সুযোগ দেওয়া হয় এ বি ডিভিলিয়ার্সকে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ করেছেন সতসবে। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এই বর্ণবিদ্বেষের কারণেই বহুদিন তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়েছিল। এখন অবশ্য ছবিটা অন্য। অভিযোগ ওঠে, যোগ্য না হলেও কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়। সতসবে অবশ্য বছর দশেক আগের সময়ের কথা সামনে তুলে এনেছেন। জানা গিয়েছে, এই প্রাক্তন বাঁ-হাতি পেসার তাঁর অভিযোগে বলেছেন, ‘‘ঠিক ছিল, বাউচারের বদলি হিসেবে ওই সফরে সোলেকিলে খেলবে। কিন্তু হঠাৎ করে ডিভিলিয়ার্সকে কিপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। উইকেটকিপার একটা বিশেষজ্ঞের জায়গা। সবাই এই কাজটা করতে পারে না। ডিভিলিয়ার্স মোটেই নিয়মিত কিপার ছিল না। ডিভিলিয়ার্সকে কিপার হিসেবে খেলানোর একটাই কারণ ছিল। এক জন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারের জায়গাটা আটকে দেওয়া।’’ ওই সিরিজে টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন স্মিথ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ডিভিলিয়ার্স। সতসবে তাঁর অভিযোগে আরও বলেছেন, ‘‘স্মিথ ওই সময় এও বলেছিল, সোলেকিলেকে খেলানো হলে সেই মুহূর্তে অবসর নিয়ে নেবে।’’ এর আগে গত বছর সোলেকিলে কারও নাম না করে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর বাদ পড়া নিয়ে। স্মিথ এই অভিযোগের কোনও জবাব এখনও দেননি।