ইরফান পাঠান
শ্রীনগর ছেড়ে চলে যেতে বলা হল ইরফান পাঠান-সহ রাজ্যের সব ক্রিকেটারকে। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীরা হুমকি দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই শ্রীনগর থেকে সব পর্যটক এবং অন্য জায়গা থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য আসা লোকজনকে চলে যেতে হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীর রঞ্জি দলের কোচ ইরফান। গত বছর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে রয়েছেন তিনি। কোচিংয়ের পাশাপাশি সে দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতেও খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকি সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে দুরন্ত পারফর্ম করে দলকে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জেতান এই অলরাউন্ডার। তাই জুনিয়র ক্রিকেটার বাছাইয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয় ইরফানকেই। অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ট্রায়াল চলাকালীনই ইরফানদের কাছে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ আসে। তা শুনেই জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট সংস্থা (জেকেসিএ)-কে বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানান বাঁ-হাতি পেসারকে। রবিবার ইরফান বলেন, ‘‘জুনিয়রদের প্রথম পর্বের ট্রায়াল শেষ হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল চলছিল। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী তা পিছিয়ে দিতে হয়েছে। জেকেসিএ-র সিইও দ্রুত আমাদের বাড়ি ফিরতে বলেন। কিন্তু ছেলেদের আগে না-পাঠিয়ে নিজে শ্রীনগর ছাড়িনি।’’
ইরফান জানিয়েছেন, মাঠের মধ্যেও যেমন ক্রিকেটারদের ভাল-মন্দ দেখার দায়িত্ব তাঁর, তেমনই মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা সব সময় আমার মাথায় থাকে। তাই আমার মনে হল, ছেলেরা আগে বাড়ি ফিরুক। তার পরে না-হয় আমি ফিরব।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ক্রিকেটারদের পরিবারের লোকজন প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তাই অনেকের বাড়ির লোকের সঙ্গে আমাকে কথা বলতে হয়েছে। ছেলেদের অনেককেই আজ বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে। তাই আমিও আজ রওনা দিলাম।’’
ইরফানের পাশাপাশি জুনিয়র ও সিনিয়র মিলিয়ে একশোরও বেশি ক্রিকেটার শ্রীনগর ছেড়েছেন। ইরফান যদিও বলছিলেন, ‘‘আশা করি, এই পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাবে। ট্রায়ালও শুরু করা যাবে।’’ একান্তই যদি শুরু করা না-যায়, তা হলে উপায় কী? বাঁ-হাতি পেসার বলেন, ‘‘সে ক্ষেত্রে অন্য কোনও ক্রিকেট সংস্থাকে অনুরোধ করতে হবে তাদের কোনও একটি মাঠ আমাদের দেওয়ার জন্য। কারণ, জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতাগুলো শুরু হওয়ার আগে অন্তত এই ট্রায়াল শেষ করতেই হবে।’’