হুঙ্কার: ম্যাচ জিতিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।— ছবি এপি।
আইপিএলে তাঁর ব্যাটিং দেখা যাবে না। নিলাম থেকেই নাম তুলে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। কিন্তু আইপিএলের আগে ভারতীয় দর্শকদের জন্য তাঁর অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংসটি উপহার দিতে ভোলেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫৫ বলে তাঁর অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস শেষে জানিয়ে দিলেন, বিগ ব্যাশে নিয়মিত খেলেই তিনি ছন্দে ফিরেছেন।
ম্যাচ এবং সিরিজ সেরা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল পুরস্কার নিতে এসে বলে গেলেন, ‘‘সফরটি অসাধারণ শুরু করলাম আমরা। ভারতের মাটিতে সিরিজ জেতা খুব একটা সহজ নয়। আমার মনে হয়, দেশের মাটিতে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত খেলার ফল পেতে শুরু করেছি।’’
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচের প্রশংসা করে গেলে ম্যাক্সওয়েল। বল দ্রুত ব্যাটে আসায় লাইন ও লেংথের সামান্য হেরফের বুঝেই তা সহজে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক কী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করছিলেন ম্যাক্সি? বললেন, ‘‘ব্যাটিংয়ের জন্য এই উইকেট আদর্শ। সহজেই বল ব্যাটে আসছিল। আমরা ঠিক করেছিলাম লাইন ও লেংথে সামান্য হেরফের হলেই আক্রমণ করব। ডার্সি শর্টের উইকেট পড়ার পরে চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল। ওভার প্রতি ১১ অথবা ১২ রান করে লাগত। ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব পুরোটাই আমার কাঁধে এসে পড়ে।’’
সেই সময় পিটার হ্যান্ডসকম্বের ১৮ বলে ২০ রানের ইনিংস তাদের সিরিজ জয়ের অন্যতম মূল কারণ। ম্যাক্সওয়েল বলছিলেন, ‘‘হ্যান্ডসকম্ব এই ইনিংসটি না খেললে হয়তো আমরা জিততে পারতাম না। খুচরো রান নিয়ে সমানে স্ট্রাইক দিয়ে গেল আমাকে। ওর ইনিংস থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।’’
ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসে মুগ্ধ অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও। পাশাপাশি তরুণ লেগস্পিনার অ্যাডাম জ়াম্পার প্রশংসা করতেও ভোলেননি তিনি। ফিঞ্চের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভারতের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে যে কোনও সিরিজ জেতাই বড় প্রাপ্তি। সেখানে ম্যাক্সওয়েলের থেকে এমন একটি ইনিংস উপহার পাওয়ায় সৌভাগ্যের। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসের শুধু প্রশংসা করলে ভুল হবে। আমাদের জয়ের জন্য জ়াম্পার বোলিংকেও কৃতিত্ব দিতে চাই। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের এই পিচেও চার ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়েছে ও। ভবিষ্যতে আমাদের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে ও।’’