উদ্বেগ। শুক্রবার ইডেনে গম্ভীর। -শঙ্কর নাগ দাস
সারা দিন ফিল্ডিং করার পরেও যেন ক্লান্তি নেই। শুক্রবারের খেলা শেষ হতে ওই বিকেলেই ব্যাট হাতে নেমে পড়লেন গৌতম গম্ভীররা। ইডেনে অন্ধকার নামার আগে পর্যন্ত অনেকক্ষণ নকিং করলেন গম্ভীর, উন্মুক্ত চন্দরা। শনিবার যে তাঁদের সামনে ফের বড় পরীক্ষা।
কাঁধে ৩২৪ রানে পিছিয়ে থাকার বোঝা নিয়ে কর্নাটকের বিরুদ্ধে ফের ব্যাট করতে নামতে হবে দিল্লিকে। যারা প্রথম ইনিংসে ৯০ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। ছ’দিন আগেই ওয়াংখেড়েতে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৫৯০ তুলে আসা দিল্লি শিবির অবশ্য আশাবাদী, তাঁরা ইডেনে দ্বিতীয় ইনিংসে উঠে দাঁড়াতে পারবেন। কোচ ভাস্কর পিল্লাই সন্ধেয় টিম হোটেলে ফিরে বললেন, ‘‘রোজ রোজ তো একই ভুল হয় না। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ফর্মে রয়েছে। আগের ম্যাচেই আমরা ৫৯০ রান তুলেছি। এই ম্যাচটাও আমাদের হাত থেকে পুরো বেরিয়ে যায়নি এখনও।’’
শুক্রবার রঞ্জির গ্রুপ বি-র হাই প্রোফাইল ম্যাচে ৪১৪ তুলে কর্নাটক বুঝিয়ে দিল, ইডেনের উইকেট নিয়ে ব্যাটসম্যানদের কোনও সমস্যা নেই। আগের দিনের দুই ওপেনারের পর এ দিন করুণ নায়ার (৫৩), মীর আব্বাস (৫২), সিএম গৌতমরাও (৬৩) দিল্লি বোলারদের শাসন করলেন। চিকনগুনিয়ায় দুর্বল হয়ে পড়া জাতীয় দলের পেসার ইশান্ত শর্মা এ দিন কিছুটা ভাল বল করেও একটার বেশি উইকেট পাননি। লম্বা স্পেলও করতে পারছেন না ইশান্ত। আগের দিন দশ ওভার বল করার পর এ দিন সারা দিনে ১১ ওভার হাত ঘোরান। ফলো থ্রু-তে বারবার পপিং ক্রিজে চলে আসছিলেন বলে আম্পায়ার তাঁকে সতর্কও করেন। এক বার ফলো থ্রু-এর পরে উইকেটে মুখ থুবড়ে পড়েও যান। এ সব অন্যতম জাতীয় নির্বাচক দেবাঙ্গ গাঁধী ক্লাব হাউসে বসে বসে সারা দিন ধরে দেখলেন।