উল্লাস: বার্সেলোনার বিরুদ্ধে স্বপ্নের জয়। উচ্ছ্বাসে যেন আকাশে উড়লেন বেনফিকার ফুটবলারেরা। উয়েফা
আবারও হারের ধাক্কা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার রাতে বেনফিকার কাছে ০-৩ পর্যুদস্ত হওয়ার পরে রোনাল্ড কোমান স্বীকার করে নিচ্ছেন, তিনিও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চিত। ২০০০-এর পরে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পর-পর দু’টি ম্যাচ হেরে গেল বার্সেলোনা। গ্রুপ ‘ই’-তে তারা এখন টেবলে সকলের নীচে।
ম্যাচের পরে কোমান বলে যান, ‘‘ফুটবলারদের সমর্থন সঙ্গে আছে। ওদের মনোভাব বেশ ভাল। বাকিটা আমি জানি না।’’ ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাঁর জবাব, ‘‘এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না কারণ জানি না, ক্লাব এ ব্যাপারে কী ভাবছে। এই বিষয়ে বেশি প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না কারণ এটা আমার হাতেই নেই। দেখা যাক কী হয়।’’ বৃহস্পতিবার স্পেনে জোর জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হতে পারে কোমানকে। তাঁর সঙ্গে ক্লাবের নতুন প্রধানের সম্পর্কও যে ভাল যাচ্ছে না, সেটাও আর গোপন নেই।
শেষ পাঁচটি ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছে বার্সেলোনা। লিয়োনেল মেসি বিদায় নেওয়ার পরে পতনের মুখে জনপ্রিয় ক্লাব। লা লিগায় তারা এখন ছ’নম্বরে। আর্থিক সঙ্কটের কারণে লা লিগা কর্তৃপক্ষ তাদের খরচের পরিমাণও বিশাল ভাবে ছেঁটে দিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের আতঙ্ক এসে পড়েছে। কোমান বলেন, অতীতের সব বার্সেলোনা দলের সঙ্গে এখনকার তুলনা করার মানে হয় না। ‘‘আমাদের এই দলের মান নিয়ে কোনও তর্ক করতে চাই না। শুধু বলব, পুরনো সব বার্সেলোনা দলের সঙ্গে তুলনা টানার অর্থ নেই। সেটা জলের মতো পরিষ্কার।’’ বেনফিকার হয়ে দু’টি গোল করেন নুনেজ়। হ্যাটট্রিকও হয়ে যেতে পারত তাঁর যদি না আর একটি শট পোস্টে লেগে ফিরত। একটি গোল ফেরেরা সিলভার। সারা ম্যাচে বার্সার মাত্র একটিই বলার মতো আক্রমণ দেখা গিয়েছে। কে বলবে, এই দলটার নাম বার্সেলোনা! তার উপরে ৮৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন এরিক গার্সিয়া।
কাঠগড়ায়: অনিশ্চিত হচ্ছে কোমানের ভবিষ্যৎ। গেটি ইমেজেস
বায়ার্ন মিউনিখের গোলের বন্যা অবশ্য চলছে। বার্সেলোনাকে তাদের ঘরের মাঠে হারানোর পরে ডায়নামো কিয়েভকে তারা ৫-০ হারাল। প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেন রবার্ট লেয়নডস্কি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁর ৭৭ গোল হয়ে গেল। সের্জি ন্যাব্রি, লেরয় সানে এবং এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং বাকি গোলগুলি করেন। ম্যাচের আগে এনগোলো কন্তের কোভিড আক্রান্ত হওয়া হয়তো আতঙ্ক ছড়িয়েছিল চেলসি শিবিরে। তারা হেরে গেল জুভেন্টাসের কাছে। দ্বিতীয়ার্ধের দশ সেকেন্ডের মাথায় ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ইটালির ইউরো জয়ের অন্যতম নায়ক ফেদেরিকো কিয়েসা। হেরে গেলেও গত বারের চ্যাম্পিয়ন চেলসির পরের পর্বে যোগ্যতা অর্জন নিয়ে সংশয় এখনও নেই। চেলসির ম্যানেজার থোমাস টুহল বলেছেন, তাঁর কাছেও এই হারের কোনও ব্যাখ্যা নেই। ‘‘প্র্যাক্টিসে দারুণ ছন্দে ছিল দল। ম্যাচে এসে কার্যত দাঁড়িয়ে গেল। কেন, তার কোনও উত্তর আমি খুঁজে পাচ্ছি না,’’ বলেছেন তিনি।