সেই উত্তপ্ত মুহূর্ত। ছবি: টুইটার
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো: জানিস কোকে আমাকে গালিগালাজ করেছে।
সতীর্থ: কী?
রোনাল্ডো: আমাকে জঘন্য একটা গালি দিয়েছে কোকে।
সতীর্থ: তোকে এ রকম গালাগাল করতে পারল ও?
রোনাল্ডো: আমি তখন বললাম ওকে, মাদ্রিদে যদি কখনও দেখা হয় কী হাল করি তোর দেখিস।
সতীর্থ: কী করবি?
রোনাল্ডো: কী আর করব, কী আর করতে পারি?
আর এক সতীর্থ: কে গালাগাল দিয়েছে?
রোনাল্ডো: কোকে। জঘন্য একটা কথা। আমি তখন বললাম, হ্যাঁ, যেটা বলছিস ওটা। তবে প্রচুর পয়সাওয়ালা।
উপরের কথোপকথন শনিবারের রিয়াল মাদ্রিদ আর আটলেটিকো মাদ্রিদ ম্যাচের ঘটনা। আটলেটিকোর কোকের সঙ্গে রোনাল্ডোর মাঠে ঝামেলা হয় সে দিন। ঠিক কী হয়েছিল, বোঝা যায়নি তখন। দ্বিতীয়ার্ধে রোনাল্ডো আর কোকে পরস্পরের মাথা ঠেকিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছেন দেখা যায়। রোনাল্ডো পরে ব্যাপারটা বলেন সতীর্থদের। ড্রেসিংরুমে। এক স্প্যানিশ সাংবাদিক যা ফাঁস করে দেওয়ায় তুমুল হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকে বলতে থাকেন, রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিকে কালি পড়ে গেল এই বিতর্কে। বিতর্ক এতটাই উত্তাপ ছড়াচ্ছে যে, মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোনাল্ডোদের স্পোর্টিং লিসবনের বিরুদ্ধে লড়াইও যেন চাপা পড়ে যাচ্ছে।
মজার কথা, পর্তুগিজ ক্লাবের কোচ থেকে খেলোয়াড় সবার মুখে যুদ্ধে নামার আগে রোনাল্ডোকে রোখা নয়, তাঁর প্রশংসাই বেশি শোনা যাচ্ছে। কেন না স্পোর্টিং লিসবন রোনাল্ডোর প্রাক্তন ক্লাব। সিআর সেভেনকে নিয়ে তাই গর্বের শেষ নেই স্পোর্টিংয়ের। কোচ হোর্জে জেসাসের কথাতেও রোনাল্ডো-মুগ্ধতা স্পষ্ট। স্প্যানিশ মিডিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘‘রোনাল্ডো জন্মেছে গোল করার জন্য। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গোল ও করেছে। তবে রোনাল্ডোকে বিশ্বসেরা শুধু এই জন্যই বলছি না। ওর সবটা মিলিয়েই বলছি। অসম্ভব প্রতিভাবান রোনাল্ডো।’’
সেপ্টেম্বরে বের্নাবাওতে রিয়াল নাটকীয় ভাবে স্পোর্টিংকে হারিয়েছিল ২-১। সেই ম্যাচে রোনাল্ডো ফ্রি কিক থেকে গোল করলেও সেলিব্রেট করেননি। প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করেছেন বলে। যে ক্লাব থেকে তাঁর উত্থান। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে যাওয়া। স্পোর্টিং কোচ বলছিলেন, ‘‘আমরা যখন মাদ্রিদে গিয়েছিলাম, রোনাল্ডোর তখন প্রায় বছর খানেক ফ্রি কিক থেকে গোল আসেনি। আমাদের বিরুদ্ধেই ঠিক ও গোলটা করে দেখাল। ওটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ও কত বুদ্ধিমান আর অভিজ্ঞ। বিশ্বের যে কোনও কোচ ওকে দলে পেতে চাইবে। আমার কখনও সুযোগ হয়নি। তবে সুযোগটা পেতে চাই।’’