Football

গনজালেজের জোড়া গোল, গোকুলমকে হারিয়ে ডুরান্ডে হারের বদলা নিল মোহনবাগান

ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মার্কাস জোসেফ একাই মোহনবাগানের রক্ষণ ভেঙেছিলেন। এ দিন তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করলেও বিপজ্জনক হতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:০২
Share:

মোহনবাগানের জয়ের নায়ক ফ্রান গনজালেজ। —ফাইল চিত্র।

মোহনবাগানগোকুলম

Advertisement

(গনজালেজ পেনাল্টি-সহ ২) (জোসেফ)

চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে হেরে গিয়ে এক সময়ে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা। চাকরি চলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাঁর। সেই কিবু ভিকুনার মোহনবাগান প্রথমে ট্রাউ আর সোমবার শক্তিশালী গোকুলমকে হারিয়ে ডার্বি ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে। সেই সঙ্গে তাঁর উপরে চেপে বসা অনন্ত চাপটাও কাটিয়ে ফেললেন।

Advertisement

এ বারের আই লিগে গোকুলম অন্যতম শক্তিশালী দল। মাস চারেক আগে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে কেরলের গোকুলম হারিয়ে দিয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবিরকে। এ দিন কল্যাণীতে হেনরি কিসেক্কা-মার্কাস জোসেফ সমৃদ্ধ দলকে হারিয়ে ডুরান্ড হারের প্রতিশোধ নিল মোহনবাগান।

পারফরম্যান্স ভাল না হওয়ায় স্পেনীয় স্ট্রাইকার সালভা চামরোকে আগেই ছেড়ে দিয়েছে বাগান-শিবির। নতুন স্ট্রাইকারের খোঁজে রয়েছে মোহনবাগান। এ রকম পরিস্থিতিতে কল্যাণীর মাঠে গোকুলমকে মাটি ধরানোর নায়ক অভিজ্ঞ ফ্রান গনজালেজ। সবুজ-মেরুনের ৫০ নম্বর জার্সিধারী দুই অর্ধে দু’টি গোল করে দলকে জেতান। প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেন তিনি। দ্বিতীয় গোলটি ফ্রান গনজালেজ করেন বেইতিয়ার কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে। শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের হয়ে অতীতে ৫০ নম্বর জার্সি পরে খেলতেন সনি নর্দে। এখন সেই জার্সি পিঠে উঠেছে গনজালেজের। সনির মতোই তিনিও এখন দলের অভিভাবক। দলের ত্রাতা হয়ে ধরা দিচ্ছেন।

ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মার্কাস জোসেফ একাই মোহনবাগানের রক্ষণ ভেঙেছিলেন। এ দিন তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করে কেরলের দলের হয়ে সমতা ফেরালেও বিপজ্জনক হতে পারেননি। তাঁকে নিষ্প্রভ করে রাখেন মোহনবাগানের দুই ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল সাইরাস ও ফ্রান মোরান্তে। মোহনবাগানের জার্সিতে অতীতে খেলা হেনরি কিসেক্কাও পুরনো দলের বিরুদ্ধে ঝলসে উঠতে পারেননি। সবুজ-মেরুনের বারের নিচে দারুণ খেললেন শঙ্কর রায়। একাধিক বার তিনি দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করলেন।

রবিবার ডার্বি ম্যাচ। সেই ম্যাচের আগে বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গেল মোহনবাগান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement