উইম্বলডনে এ বার গোড়ার দিকে আবহাওয়া অপ্রত্যাশিত ভাবে ভাল দেখাচ্ছে। বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম যে জন্য দুরন্ত ভাবে শুরু হল। পুরুষদের ‘বিগ ফোর’ও টুর্নামেন্টে প্রত্যাশিত ভাবেই শুরু করেছে। ফলে দ্বিতীয় সপ্তাহে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। ফেডেরার, নাদাল, মারে আর জকোভিচ ছাড়া অন্য কেউ যদি এ বার চ্যাম্পিয়ন হয় তা হলে তাঁকে বড় অঘটন ঘটাতে হবে।
মেয়েদের মধ্যে আবার অনেকে মনে করছে এ বার তাঁদের সামনে উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। সেরিনা উইলিয়ামস এবং মারিয়া শারাপোভার অনুপস্থিতি মেয়েদের সিঙ্গলসে প্রথম সারির খেলোয়াড়দের অনেক আশা জোগাচ্ছে। টেনিস বিশ্বের সবচেয়ে ঐতিহ্যপূর্ণ টুর্নামেন্টে তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারে এই বিশ্বাসটাকে আরও মজবুত করছে। আমার সঙ্গীদের চোটের সমস্যা থাকায় মেয়েদের সিঙ্গলস খেলোয়াড়দের কাছে আমায় যেতে হয়েছিল ডাবলস পার্টনারের খোঁজে। তখনই সিঙ্গলস খেলোয়াড়দের এই আশার ব্যাপারটা টের পেলাম। প্রত্যেকেই জানাল তাঁদের এ বার সিঙ্গলসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেরা সুযোগ। আমার সঙ্গে ডাবলসে খেলার ইচ্ছে থাকলেও তাই আমার প্রস্তাবটা গ্রহণ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: মাঝরাতেই কেক কাটলেন মাহি, আজ সৌরভ ৪৫
জুটি: উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ডে পূরব রাজা ও দ্বিবীজ শরন। ছবি: রয়টার্স
২০০৫-এর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে কেরিয়ারের ৪৮ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলছি। এই দীর্ঘ পথটা পেরোতে গিয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভারতের মেয়ে হিসেবে আমি খুব খুশি নিজের টেনিসকে এই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরে। আশা করি ভবিষ্যতে যা মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে। আমি ভাগ্যবান টেনিস কেরিয়ারে ছ’টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছি। উইম্বলডনে আমার সঙ্গীদের চোট সমস্যা যে ভাবে ভোগাচ্ছে তার পরে এই প্রথম আমি গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামলাম খুব বেশি আশা না নিয়েই।
তবে ডাবলসে প্রথম রাউন্ডে প্রতিভাবান ওসাকা-ঝ্যাং জুটির বিরুদ্ধে জেতার পরে তৃপ্তি পেয়েছি। পাশাপাশি ভারতীয় জুটি পূরব রাজা এবং দ্বিবীজ শরনের প্রথম রাউন্ডে জয় দেখে দারুণ লেগেছে।