সাক্ষী মালিক। —ফাইল চিত্র।
ভারতকে অলিম্পিক্স পদক এনে দিয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সে। কিন্তু তার পাঁচ বছর আগেই সাক্ষী মালিক হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। আত্মজীবনীতে সেই কথাই জানিয়েছেন ভারতীয় কুস্তিগির।
২০১২ সালে এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন সাক্ষী। সেই সময় তাঁর বয়স ১৯ বছর। কাজাখস্তানে হয়েছিল সে বারের প্রতিযোগিতা। সোনা জিতে আনন্দে ভাসছেন সাক্ষী। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতীয় কুস্তি সংস্থার তৎকালীন প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের ঘরে। তাঁর ফোন থেকেই বাড়িতে খবর দিয়েছিলেন সাক্ষী। কথা বলেছিলেন মা, বাবার সঙ্গে। কিন্তু সেই ফোন শেষ হতেই ব্রিজভূষণ তাঁকে যৌনহেনস্থা করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ সাক্ষীর।
২০১৬ সালে রিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন সাক্ষী। ভারতীয় কুস্তিগির লিখেছেন, “ফোন শেষ হতেই আমাকে যৌনহেনস্থার চেষ্টা করেন ব্রিজভূষণ। আমি ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিই। কাঁদতে শুরু করি। ব্রিজভূষণ বুঝতে পারেন ওঁর উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। পিছিয়ে যান উনি। বলেন, আমাকে পিতৃস্নেহে জড়িয়ে ধরেছিলেন। কিন্তু আমি জানি তা মোটেই ছিল না। আমি কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বেরিয়ে যাই।”
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কুস্তিগিরেরা যৌনহেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন। তাঁরা যন্তরমন্তরের সামনে ধর্না দিয়েছিলেন। সেই আন্দোলনে ছিলেন সাক্ষী। ব্রিজভূষণকে সরিয়ে দেওয়া হয় কুস্তি সংস্থার প্রধানের পদ থেকে। যদিও সেই জায়গায় যিনি দায়িত্ব নিয়েছেন, সাক্ষীদের অভিযোগ তিনি ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।