শোয়েবের বল খেলতে ভয় পেতেন অনেক ব্যাটসম্যানই। —ফাইল চিত্র।
যে কোনও ব্যাটসম্যানই তাঁর গতি সামলাতে ভয় পেতেন। বিশ্বের দ্রুততম ডেলিভারিটা বেরিয়েছিল তাঁর হাত থেকেই।
এ হেন শোয়েব আখতারের বোলিং দেখে মহম্মদ কাইফের ছেলে বলে ওঠেন, “শোয়েব আখতারকে বাউন্ডারি মারা তো খুবই সহজ।” কারণ যে গতিতে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ বল করেন, সেই গতিকে কাজে লাগিয়ে নাকি অনায়াসে বল বাউন্ডারিতে পাঠানো যায়!
দেশ জুড়ে এখন লকডাউন চলছে। এই সময়ে একটি স্পোর্টস চ্যানেলে অতীতের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ পুনঃসম্প্রচার করা হচ্ছে। ২০০৩ বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটা একসঙ্গে বসে দেখছিলেন কাইফ ও তাঁর ছেলে।
আরও পড়ুন: ‘এখনকার দলে সিনিয়রদের প্রতি শ্রদ্ধা কমেছে’, রোহিতের প্রশ্নের উত্তরে আক্রমণাত্মক যুবরাজ
সে বারের বিশ্বকাপে বারুদে ঠাসা ছিল দুই প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট-যুদ্ধ। শোয়েব আখতারকে আপার কাটে গ্যালারিতে ফেলেছিলেন সচিন। পরে শোয়েবের মারাত্মক গতির বল ধেয়ে এসে সচিনের উইকেট ছিনিয়ে নেয়। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’কেই মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছিলেন কাইফ। বাবার বাউন্ডারি হাঁকানো দেখে ছেলে কবীর বলে ওঠে, শোয়েবকে খেলা কঠিন কোনও ব্যাপার নয়। ভারত-পাক ম্যাচ দেখতে দেখতে ছেলের এই প্রতিক্রিয়ার কথা টুইটে লিখেছেন কাইফ, “অবশেষে কবীর ঐতিহাসিক ভারত-পাক ম্যাচ দেখল। কিন্তু জুনিয়র তো পাপার খেলা দেখে মোটেই আহ্লাদিত হয়নি। বলেছে, শোয়েবকে খেলা কোনও ব্যাপারই নয়। কারণ শোয়েবের বলে পেস আছে। সেই গতিকে কাজে লাগানো সহজ।”
২০০৩ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে কাইফ ৩৫ রান করেছিলেন। কাইফের টুইট দেখে তাঁকে উদ্দেশ করে শোয়েব পাল্টা টুইটে লেখেন, “তা হলে কবীর আর মাইকেল আলি আখতারের ম্যাচ হয়ে যাক? পেস নিয়ে ওর প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবে। আমার ভালবাসা দিও।”
আরও পড়ুন: বনিবনা ছিল না একেবারেই, কিন্তু সৌরভ-গ্রেগের ক্রিকেট জীবনের এই সব মিল আপনাকে চমকে দেবে
শোয়েবর ছেলে মাইকেল আলি আখতার। মাঠের ভিতরে শোয়েব ও কাইফ কঠিনতম প্রতিপক্ষ হলেও, মাঠের বাইরে তাঁরা একে অপরের বন্ধু। সেই বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরেও।