স্মৃতি: মোহনবাগান প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীতে তাতাবানিয়া অধিনায়ক হেটিনির সঙ্গে অশোক (বাঁ দিকে)।
প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার অশোক চট্টোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। কলকাতার দুই প্রধান মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও বাংলা ও ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। রেখে গেলেন স্ত্রী ও পুত্রকে। শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকাস্তব্ধ হয়ে যায় ভারতের ফুটবল মহল।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের শোকবার্তা, ‘‘অশোক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দুঃখজনক। তাঁর অবদান ভোলা যাবে না। তাঁর পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করছি।’’ ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস বললেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলে তাঁর কীর্তির জন্য অমর হয়ে থাকবেন অশোক চট্টোপাধ্যায়। অনেক ফুটবলারের প্রেরণা ছিলেন তিনি।’’ অশোক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকাহত তাঁর সতীর্থ চুনী গোস্বামী। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার ভাল বন্ধু ছিল। একসঙ্গে মোহনবাগানে খেলেছি। আমার বাড়ানো পাস থেকে অনেক গোল করেছে ও। অশোক আর নেই ভাবলে কান্না পাচ্ছে।’’ ক্লাব দলে তাঁর বিরুদ্ধে খেলা সুকুমার সমাজপতির প্রতিক্রিয়া, ‘‘উচ্চতা কম, পায়ে শট তেমন জোরালো নয়। কিন্তু হার না মানা মনোভাবের জন্য অশোককে ওর সময়ে সব ডিফেন্ডার সমীহ করত।’’ মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যও বললেন, ‘‘অশোকদা যখন বড় দলে খেলতেন, আমরা তখন ছোট দলের ফুটবলার। তরুণ বয়সেও ওঁকে আটকানো আমাদের পক্ষে কঠিন হত।’’
ভারতের হয়ে ৩০টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা স্বর্ণযুগের স্ট্রাইকার অশোক চট্টোপাধ্যায় প্রথম জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামেন ১৯৬৫ সালের মারডেকা কাপে জাপানের বিরুদ্ধে। জাতীয় দলের হয়ে ১০টি গোল রয়েছে তাঁর। যার মধ্যে ১৯৬৬ সালের মারডেকা কাপে জাপানের বিরুদ্ধে ভারতের ৩-০ জয়ে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। ভারতের হয়ে ১৯৬৬ সালের এশিয়ান গেমসেও খেলেছিলেন অশোক চট্টোপাধ্যায়।
প্রয়াত এই ফুটবলারের জন্ম ও বেড়ে ওঠা হাওড়ার হালদারপাড়া লেনে। জাতীয় স্কুল ফুটবলে খেলতে গিয়েই প্রথম নজর কাড়েন তিনি। ১৯৬০ সালে মোহনবাগান জুনিয়র দলে যোগ দেন। মোহনবাগান সিনিয়র দলে ১৯৬২-৬৮ ও ১৯৭২ সালে খেলেছেন। ১৯৬৯-৭১ খেলেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে।