হার্ড হিটার এবং আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম ছিল যথেষ্ট। দলের দুঃসময়ে নিজেকে মেলেও ধরতেন। কিন্তু ভাল ফর্ম বেশি দিন ধরে রাখতে পারলেন না। প্রত্যাশিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল অতুল বেদাদের কেরিয়ার। অতীতের জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার এখন কলঙ্কিত।
১৯৬৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে জন্ম অতুলের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬৪ ম্যাচে তাঁর মোট রান ৩১৩৬। সর্বোচ্চ রান ১৫৯। উইকেট পেয়েছেন দু’টি। লিস্ট এ ক্রিকেটে ৬০টি ম্যাচে রান করেছেন ১২১৭। সর্বোচ্চ ৭৮। উইকেট আটটি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ ১৯৯৪-এ। শারজায় তাঁর প্রথম ম্যাচ ছিল সংযুক্ত আরবআমিরশাহির বিরুদ্ধে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স প্রতিফলিত হয়নি আন্তর্জাতিক মঞ্চে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুটওয়ার্কের থেকে অতুল বেদাদে বেশি নির্ভর করতেন শক্তির উপর। পাশাপাশি যখন তখন ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাও সবসময় সফল হয়নি।
কিন্তু নির্বাচকরা এর পরেও প্রসন্ন ছিলেন তাঁর উপর। মোট তেরোটি ওয়ান ডে ম্যাচে তিনি খেলেন। কিন্তু শুধুমাত্র একবারই পার করতে পেরেছিলেন অর্ধশতকের গণ্ডি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫১ রান করেছিলেন তিনি। এটাই তাঁর কেরিয়ারের সর্বোচ্চ।
একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অতুল বেদাদের আত্মপ্রকাশ ১৯৯৪-এর এপ্রিলে। শেষ ম্যাচ খেলেন ওই বছরেরই নভেম্বরে। এরপর আর ডাক পাননি জাতীয় দল থেকে।
২০০৬ সালে বিসিসিআই-এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আম্পায়ার মনোনীত হন অতুল বেদাদে। ক্রিকেট প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিসিসিআই এবং ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির শংসাপত্রও পেয়েছেন তিনি। ২০১০ সালে গুজরাতের পুরনির্বাচনে তিনি জয়ী হন বিজেপির টিকিটে।
এ বার যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রাক্তন ক্রিকেটার অতুল বেদাদে। বডোদরা মহিলা দলের কোচের পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
বডোদরা ক্রিকেট সংস্থার সচিব অজিত লেলে সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “তদন্তকারী কমিটির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেদাদেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। সংস্থার বাইরের একজন নিরপেক্ষ সদস্য থাকবেন এই তদন্ত কমিটিতে। যৌন হেনস্থার অভিযোগ পেলে এটাই করা হয় সাধারণত।”
বেদাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখবে যে কমিটি, তা গড়বে বডোদরা ক্রিকেট সংস্থাই। যাতে থাকবেন সংস্থার বাইরের এক জন। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সংক্রান্ত জটিল পরিস্থিতির জেরে এই কমিটি কখন গড়া হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
অতীতের হার্ড হিটার অতুল বেদাদে এক সময় বডোদরার পুরুষ দলের কোচ ছিলেন। গত বছর তিনি মহিলা দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু সে দায়িত্বেও বেশি দিন থাকতে পারলেন না। (ছবি: আর্কাইভ এবং ফেসবুক)