কষ্ট ভুলতে চান আমনারা

এক জন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে মিশরে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি— মহম্মদ আল আমনা। আর এক জন ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে লাইবিরিয়া থেকে ভারতে চলে এসেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আইজল শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:০০
Share:

এক জন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে মিশরে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি— মহম্মদ আল আমনা। আর এক জন ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে লাইবিরিয়া থেকে ভারতে চলে এসেছেন। তিনি, আলফ্রেড জারিয়ান। মোহনবাগানকে হারিয়ে আই লিগ জিততে এই দু’জনই প্রধান ভরসা আইজল এফসি কোচ খালিদ জামিলের।

Advertisement

৩৪ বছর বয়সি মিডফিল্ডার আমনা বলছিলেন, ‘‘সিরিয়ার আলিপো-তে জন্ম আমার। কিন্তু ছ’বছর আগে পরিবার নিয়ে স্ত্রীর দেশ মিশরে চলে যেতে বাধ্য হই। আমার বাবা ও ভাই আলিপোতেই রয়েছে। কিন্তু আমি আর দেশে ফিরিনি। তবে ওদের জন্য এক মুহূর্তও স্বস্তিতে থাকতে পারি না। সারাক্ষণই আতঙ্কে কাটাই— এই বুঝি খারাপ খবর এল।’’ ভয়াবহ স্মৃতি ভুলতে ফুটবলকেই অস্ত্র করেছেন আমনা। কোচের সঙ্গে জুম্মার নমাজ পড়তে যাওয়ার আগে বললেন, ‘‘ফুটবল মাঠটাই আমার শান্তির জায়গা। মোহনবাগানকে হারাতে পারলে বেশ কিছু দিন হয়তো শান্তিতে ঘুমোতে পারব।’’

আলফ্রেডের অস্ত্র অবশ্য উপেক্ষার যন্ত্রণা। জর্জ উইয়ার দেশের স্ট্রাইকার ২০১০ সালে মহমেডানে সই করেছিলেন। স্বপ্ন দেখতেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানে খেলার। কিন্তু কলকাতা লিগে নজর কাড়লেও উপেক্ষিতই থেকেছেন দুই প্রধানে। তিন বছর পরে খালিদ জামিল তাঁকে নিয়ে যান মুম্বই এফসি-তে। দুই স্টপারের সামনে দাঁড়িয়ে বিপক্ষের প্রধান অস্ত্রকে ভোঁতা করে দেওয়ার দায়িত্ব আলফ্রেডের উপরেই দেন খালিদ। শনিবার তাঁর কাজ সনি নর্দে-কে আটকানো।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement