কলম্বিয়া-নাইজেরিয়া ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি পিটিআই
মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে চলে গেল কলম্বিয়া। বুধবার পেনাল্টি শুটআউটে তারা ৬-৫ ব্যবধানে হারিয়ে দিল নাইজেরিয়াকে। এই প্রথম বার মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল কলম্বিয়া। ম্যাচে কোনও গোল হয়নি। আগামী রবিবার ফাইনালে স্পেনের বিরুদ্ধে খেলবে কলম্বিয়া।
গোয়ার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বুধবার প্রথমার্ধে অনেক ভাল খেলেছে নাইজেরিয়া। যা সুযোগ তারা পেয়েছিল তা কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচ পেনাল্টি শুটআউটে যাওয়ার দরকারই পড়ত না। কিন্তু কোনও সুযোগই তারা কাজে লাগাতে পারেনি। বল নিয়ন্ত্রণ তাদের দখলেই ছিল। তা সত্ত্বেও একটিও গোলমুখী শট নিতে পারেনি। প্রথমার্ধে দু’-একটি সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়াও। ইয়েসিকা মুনোজ় এবং মেরি এস্পিলেতার শট দুর্দান্ত ভঙ্গিতে বাঁচান নাইজেরিয়ার গোলকিপার ফেথ ওমিলানা। মুনোজ়ের একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক শট বাঁচাতে হয় ওমিলানাকে। এর মধ্যে লিন্ডা কাইসিডোর অবধারিত গোল বাঁচিয়ে দেন তিনি। নাইজেরিয়া গোল করার তুলনায় অনেক বেশি রক্ষণাত্মক খেলায় মন দেয়। দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বীকে আটকে দিতে সফল হয় তারা। ম্যাচের শেষ দিকে সেই ওমিলানাকেই তুলে নেওয়া হয়। তার বদলে নামানো হয় চিকামসো জিয়ুয়াকাকে। আমেরিকার বিরুদ্ধে যিনি দারুণ খেলেছিলেন।
জিয়ুয়াকা এ দিনও একটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নাইজেরিয়ার ওমামুজো এডাফে পঞ্চম কিক মিস্ করেন। ফলে পাঁচটি শটের পর খেলা ৪-৪ থাকে। কলম্বিয়ার নাতালিয়া হের্নান্দেস গোল করেন। কিন্তু কমফোর্ট ফোনোরুনশো মিস্ করেন।
অন্য সেমিফাইনালে গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারাল স্পেন। শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। দু’দলই নিজেদের রক্ষণ সামলে আক্রমণে উঠছিল। ফলে গোল করতে পারছিল না কোনও দল। ম্যাচে আধিপত্য কিছুটা হলেও বেশি ছিল স্পেনের। বলের দখল তাদের বেশি ছিল। গোল লক্ষ্য করে শটও বেশি ছিল। কিন্তু গোল আসেনি। মার্টিনেজ, কামাচোরা অনেক চেষ্টা করলেও প্রথমার্ধে গোলের দরজা খুলতে পারেননি। অন্য দিকে চেষ্টা করছিল জার্মানিও। স্টেনার, আলবেররা মাঝেমধ্যে প্রতিআক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরি করলেও স্পেনের বক্সের কাছে গিয়েই সেই আক্রমণ শেষ হয়ে যাচ্ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধেও সেই একই ফুটবল দেখা যায়। পরিবর্ত হিসাবে লুসিয়া আলভারেজ়কে নামান স্পেনের কোচ। তিনি নামার পর থেকে স্পেনের আক্রমণের গতি আরও কিছুটা বাড়ে। কিন্তু গোলের মুখ কিছুতেই খুলছিল না। দেখে মনে হচ্ছিল, খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে। কিন্তু ৯০ মিনিটের মাথায় একক দক্ষতায় গোল করেন পরিবর্ত হিসাবে নামা সেই আলভারেজ়। সেখান থেকে আর খেলায় ফেরার কোনও সম্ভাবনা ছিল না জার্মানির। ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে স্পেন।