—প্রতীকী চিত্র।
কল্যাণী স্টেডিয়ামে শুক্রবার আই লিগে ইন্টার কাশী বনাম দিল্লি এফসি ম্যাচকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আবহ। বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আইএফএ-র অভিযোগ, তাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই কল্যাণীতে খেলেছে ইন্টার কাশী!
ঠিক কী ঘটেছে? শুক্রবার লখনউয়ে ঘরের মাঠে ইন্টার কাশীর খেলার কথা ছিল দিল্লির বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের শহরে মাঠ না পাওয়ায় তারা কল্যাণীতে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। আইএফএ-র অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া তো দূরের কথা, কল্যাণীতে ম্যাচ খেলার কথা জানানো পর্যন্ত হয়নি। ক্ষুব্ধ বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সচিব অনির্বাণ দত্ত শুক্রবারই চিঠি দেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব এম. সত্যনারায়ণকে। আনন্দবাজারকে তিনি বললেন, ‘‘ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাজ্য সংস্থার অনুমতি না নিয়ে ভিন রাজ্যের কোন ক্লাবই বাংলায় ম্যাচ খেলতে পারে না। শুক্রবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটত, তখন কী হত? আইএফএকেই কাঠগড়ায় তোলা হত। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, আইএফএ-র অনুমতি না নিলে ভবিষ্যতে কল্যাণী স্টেডিয়ামে যেন ভিন রাজ্যের কোনও ক্লাবের ম্যাচ না দেওয়া হয়।’’
কল্যাণীতে ম্যাচ খেলার জন্য আইএফএ-র অনুমতি কেন নেওয়া হয়নি? ইন্টার কাশীর এক কর্তা বললেন, ‘‘লখনউয়ে মাঠ না পেয়ে আমরা শেষ মুহূর্তে কল্যাণী স্টেডিয়ামে খেলার জন্য এআইএফএফ-র কাছে বিশেষ অনুমতি চেয়েছিলাম। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরেই আমরা কল্যাণী পৌঁছই। এআইএফএফ-র তরফেও আমাদের কেউ বলেননি আইএফএ-র কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।’’
আইএফএ-র চিঠি পাওয়ার পরে ফোনে ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘ইন্টার কাশী কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছি, কল্যাণী স্টেডিয়ামে ভবিষ্যতে যদি ম্যাচ খেলতে হয়, আইএফএ-র কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। শুধু তাই নয়। এই ম্যাচ হয়ে গেলেও বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থাকে চিঠি দিতে হবে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল বোঝাবুঝি আর হবে না।’’
ইন্টার কাশী এ দিন দিল্লিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। ১৪ মিনিটে গোল মহম্মদ আসিফের। ৩৬ মিনিটে ২-০ করেন জর্ডান গ্যারিডো। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আই লিগ টেবলে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ইন্টার কাশী। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে অষ্টম স্থানে থাকা দিল্লির সংগ্রহে ১৩ পয়েন্ট। অন্য ম্যাচে কল্যাণীতে রাজস্থান এফসি ৪-৩ গোলে হারায় নেরোকাকে।