শ্বশুরবাড়িতে সুনীল। সঙ্গে স্ত্রী সোনম, সস্ত্রীক সুব্রত। নিজস্ব চিত্র
গত ৫ জুন ছিল জামাইষষ্ঠী। এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলতে তিনিও ছিলেন শহরেই। তবে জৈবদুর্গে থাকায় কয়েক কিমি দূরে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হতে পারেননি সুনীল ছেত্রী। সেই সুযোগ মিলল বৃহস্পতিবার। শহর ছাড়ার আগে এ দিন দুপুরে জামাইষষ্ঠী খেতে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে গেলেন তিনি। শ্বশুর তো যে সে লোক নন, প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য। ফলে সুনীলের আদর-আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি হল না।
বাড়িতে ঢোকার মুখেই দুধে-আলতার পাত্র ছিল। সেখানে পা ডুবিয়ে সামনে পেতে ধবধবে সাদা কাপড়ের উপর দিয়ে হেঁটে ঘরের ভেতরে ঢোকেন সুনীল। ভেতরে তাঁর জন্য ছিল রাজকীয় আয়োজন। সুনীলের স্ত্রী সোনম এবং সস্ত্রীক সুব্রত বাড়ির জামাইকে অভ্যর্থনা জানান। ছিলেন অন্যান্য আত্মীয়রাও। সুনীলকে বরণ করে নেওয়া হয়। বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের পর মাথায় হাত রেখে জামাইকে আশীর্বাদ করেন সুব্রত।
নিজস্ব চিত্র
নিজস্ব চিত্র
সুনীল নিরামিশাষী। তাই তাঁর জন্যে মেনুতে সবই নিরামিষ খাবার ছিল। পোস্তর বড়া, পাঁচ রকম ভাজা, পোলাও, ধোঁকার ডালনা, ছানার কোপ্তা, ফুলকপির পদ-সহ একাধিক পদ রান্না করা হয়েছিল তাঁর জন্যে। সঙ্গে ছিল দই-মিষ্টি। এত খাবার দেখেই মাথায় হাত সুনীলের। ফিটনেস ঠিক রাখার জন্যে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয় তাঁকে। সুব্রত বলেন, “খুব ভাল ছেলে। মাটিতে সব সময় পা থাকে। এত বিনয়ী ছেলে দেখা যায় না। ও আরও সাফল্য পাক এই কামনাই করি।” এ দিনই শহর ছাড়লেন সুনীল।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।