গোলের পর বেলজিয়ামের দ্য ব্রুইনের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
ইউরো যোগ্যতা অর্জন পর্বে একই দিনে জোড়া অঘটন। দুর্বল স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে গেল স্পেন। অন্য দিকে, ঘরের মাঠে বেলজিয়ামের কাছে হারল জার্মানি। ৬৯ বছর পর বেলজিয়ামের কাছে ঘরের মাঠে হারতে হল জার্মানিকে।
স্কটল্যান্ডের জয়ে বড় অবদান রাখলেন স্কট ম্যাকটমিনে। দুই অর্ধ মিলিয়ে দু’টি গোল করলেন তিনি। ১৯৮৪-র পর এই প্রথম স্পেনকে হারাল স্কটল্যান্ড। ইউরোর যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৯ বছর পর হারল স্পেন। শেষ বার স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৪-য় হেরেছিল তারা। তার পর থেকে ১৯টি ম্যাচের মধ্যে ১৭টি ম্যাচে জিতেছে।
আগের ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন ম্যাকটমিনে। তবে স্পেনের বিরুদ্ধে তাঁর জোড়া গোল নিঃসন্দেহে আরও উপরে থাকবে। কোচ স্টিভ ক্লার্ক বলেছেন, “দারুণ খেলেছি আমরা। বলের নিয়ন্ত্রণ বেশির ভাগ ওদের পায়ে ছিল। তবে নিখুঁত ফুটবল উপহার দিতে চেয়েছিলাম।” স্পেনের নতুন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের এটাই প্রথম হার। তিনি দলে আটটি পরিবর্তন করেছিলেন। হারের পর তাঁর মন্তব্য, “খুব যন্ত্রণাদায়ক।”
ঘরের মাঠে আগামী বার ইউরো কাপ খেলবে জার্মানি। তারা এমনিতেই যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। ফলে বেলজিয়ামের কাছে হারে বিরাট কিছু বদল হবে না। তবে বেলজিয়ামের কাছে এই জয়ের অন্য তাৎপর্য রয়েছে। ইয়ানিক কারাস্কোর দুর্দান্ত গোলে ৬ মিনিটেই এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। সামলে ওঠার আগেই দ্বিতীয় গোল খায় জার্মানি। এ বার কেভিন দ্য ব্রুইনের পাস থেকে গোল করেন রোমেলু লুকাকু।
প্রথমার্ধের একটু আগে পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ করেন নিকলাস ফুলক্রুগ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেও চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি জার্মানিকে। আবার একটি দারুণ মুভ থেকে গোল করে বেলজিয়াম। এ বার দ্য ব্রুইন নিজেই গোল করেন। খেলা শেষের কিছু ক্ষণ আগে জার্মানির হয়ে এক গোল শোধ করেন সার্জ ন্যাব্রি।