ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এমনই গভীর গর্ত হয়েছে ফুটবল মাঠে। ছবি: টুইটার।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান থামার নাম নেই। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণ না করলে অভিযান বন্ধ হবে না। স্থল পথের পাশাপাশি আকাশ পথেও অবিরত হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনা। সেই হামলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি ফুটবল স্টেডিয়াম এবং একটি সুইমিং পুল।
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে ইউক্রেনের নানা জায়গায়। বাদ যাচ্ছে না বসতি এলাকা, খেলার মাঠও। ইউক্রেনের আকাশ হামলা প্রতিরোধী ব্যবস্থা তেমন শক্তিশালী নয়। প্রতি আটটা ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটিকে নিষ্ক্রিয় করতে পারছে তারা।
রাশিয়ার হামলা থেকে রেহাই পায়নি মিকোলাইভও। ইউক্রেনের এই শহরের একাধিক সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রুশ বিমান বাহিনী। একটি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে শহরের ফুটবল স্টেডিয়ামে। মাঠের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ায় তৈরি হয়েছে ১৫ মিটার চওড়া এবং পাঁচ মিটার গভীর একটি গর্ত। বৃহস্পতিবার ১২৫ দিনে পড়ল রুশ হামলা। এ দিনই ভোররাতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে মখমলের মতো সবুজ মাঠ।
সেন্ট্রাল সিটি স্টেডিয়ামটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। ১৬,৭০০ দর্শকাসন রয়েছে। ইউক্রেনের অন্যতম প্রাচীন ফুটবল ক্লাব এমএফকে মিকোলাইভের ঘরের মাঠ হিসাবে পরিচিত এই স্টেডিয়ামটি। ফুটবল স্টেডিয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনও প্রাণহানী ঘটেনি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ফুটবল মাঠে হামলার খবর ছড়িয়েছে দ্রুতগতিতে। নেটমাধ্যমে ছড়িয়েছে ছবি। খেলার মাঠে সামরিক হামলার নিন্দা করেছেন বহু মানুষ। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগ নেটমাধ্যমে লিখেছে, ‘আগে আমরা যুদ্ধ জয় করব। তার পর আমাদের শহরে আবার ফুটবল ফিরিয়ে আনব।’ মিকোলাইভের মেয়র আলেকজান্দার সেনকোভিচ বলেছেন, ‘‘রুশ সেনা আমাদের শহরে আটটা ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছে। সেনা বাহিনীর ৭৯ নম্বর ব্রিগেডের ছাউনি এবং ফুটবল স্টেডিয়াম লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রুশরা।’’
স্টেডিয়ামটি সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। গড়ে তোলা হয়েছিল আধুনিক পরিকাঠামো। রুশ হামলায় ভগ্নস্তুপে পরিণত হয়েছে শহরের একটি সুইমিং পুলও।