নায়ক: ম্যাচ জিতে কৃষ্ণকে নিয়ে উল্লাস সতীর্থদের। ডুরান্ড কাপ
ডুরান্ড কাপ
বেঙ্গালুরু এফসি ২ ওড়িশা এফসি ১
বন্ধু সুনীল ছেত্রীর ডুরান্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলেন রয় কৃষ্ণ! অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে (১২০+১ মিনিট) করা তাঁর গোলেই ওড়িশা এফসি-কে ২-১ হারিয়ে শেষ চারে উঠল বেঙ্গালুরু এফসি।
শনিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে শেষ আটের এই দ্বৈরথকে কেন্দ্র করে আগ্রহ তুঙ্গে ছিল ফুটবলপ্রেমীদের। ম্যাচের আট মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ওড়িশা। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে গোল নষ্ট করেন দিয়েগো মৌরিসিয়ো। এর পরেই রক্ষণ শক্তিশালী করে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবলকে বেছে নেন সুনীলরা। ১৫ মিনিটে ওড়িশার পেনাল্টি বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় বেঙ্গালুরু। কিন্তু গোল অধরাই থাকে। ২০ মিনিটে কার্লোস দেলগাদো বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে দিয়েগোর উদ্দেশে পাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বল ধরার আগেই বিপন্মুক্ত করে দেন পরাগ শ্রীবাস।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই সাবধানী ফুটবল খেলতে শুরু করে। ৬২ মিনিটে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রেফারি দীপু রায়ের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। হঠাৎ তিনি হাত দিয়ে বল থামিয়ে বেঙ্গালুরুর পক্ষে কর্নারের নির্দেশ দেন। ক্ষুব্ধ ওড়িশার কোচ জোসেপ গোম্বু রেফারির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।৮০ মিনিটে শুভম ষড়ঙ্গী লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ) দেখেন। তা সত্ত্বেও দশ জন হয়ে যাওয়া ওড়িশার বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে গোল করতে পারেননি কৃষ্ণরা। অতিরিক্ত সময়ের চার মিনিটে সুনীলের পরিবর্তে নামেন শিবশক্তি এন। তিন মিনিটের মধ্যেই তিনি গোল করে এগিয়ে দেন বেঙ্গালুরুকে। যদিও ১১৫ মিনিটে ১-১ করে দেন দিয়েগো। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্ত সময়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে নাটকীয় ভাবে ম্যাচের রং বদলে দেন কৃষ্ণ।এটিকে-মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো কি এ বার ভুল স্বীকার করবেন?
মরিয়া চেন্নাইয়িন: ১৩১তম ডুরান্ড কাপে শুরুটা প্রত্যাশিত না হলেও শেষ আটে উঠেছে চেন্নাইয়িন এফসি। আজ, রবিবার যুবভারতীতে শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠার পরীক্ষা তাদের কাছে।