জুটি: দলের তৃতীয় গোলের পরে মেসির সঙ্গে নেমার। ছবি: রয়টার্স।
পিএসজি ৭ • মাক্কাবি ২
লাইপজ়িগ ৩ • রিয়াল মাদ্রিদ ২
ডর্টমুন্ড ০ • ম্যান সিটি ০
কাতার বিশ্বকাপ যত এগিয়ে আসছে, ততই তীক্ষ্ণ হয়ে উঠছেন লিয়োনেল মেসি। মঙ্গলবার তাঁর মোহময়ী ফুটবল বিরাট ব্যবধানে জয় এনে দিল প্যারিস সঁ জরমঁ।
আর্জেন্টিনীয় তারকা করলেন জোড়া গোল। তবে পিছিয়ে রইলেন না দুই সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে এবং নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র। মেসির মতো জোড়া গোল পেলেন ফরাসি স্ট্রাইকারও। একটি গোল নেমারের। মাক্কাবি দলের সঁ গোল্ডবেঙ্গ আত্মঘাতী গোল করেন। ৮৪ মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন কার্লোস সোলের। এইচ গ্রুপে পাঁচ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোয় খেলা নিশ্চিত করে ফেলল পিএসজি।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে দলের পক্ষে প্রথম গোল করেন মেসি। তাঁর দ্বিতীয় গোল ৪৪ মিনিটে। এমবাপের প্রথম গোল ৩২ মিনিটে, দ্বিতীয় গোল ৬৪ মিনিটে। নেমারের গোল ৩৫ মিনিটে। ম্যাচের পরে পিএসজি ম্যানেজার ক্রিস্তোফ গালচিয়ে বলেছেন, “এমন একটা বড় জয়ের খুব প্রয়োজন ছিল।”
পিএসজির গোল-ঝড়ের রাতে হেরেই গেল করিম বেঞ্জেমা এবং লুকা মদ্রিচহীন রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে আরবি লাইপজ়িগ ৩-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলোত্তির দলকে। ১৩ মিনিটে ইয়াস্কো ভার্দিয়োল এবং ১৮ মিনিটে ক্রিস্টোফার এনকুঙ্কুর গোলে এগিয়ে যায় লাইপজ়িগ। রিয়ালকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কিন্তু সেই প্রয়াসও ব্যর্থ হয়ে যায় ৮১ মিনিটে চেলসি থেকে বুন্দেশলিগায় ফেরা টিমো ওয়ের্নার। সংযুক্ত সময়ে (৯০+৪) পেনাল্টি থেকে গোল করেন রদরিগো। কিন্তু তাতে হার এড়ানো সম্ভব হয়নি।
তবে পরিচিত ইদুনা পার্কে মঙ্গলবার গোল করার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল আর্লিং হালান্ডের। পুরনো দল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে ফিরতি সাক্ষাতের ফল দাঁড়ায় গোল শূন্য। তারই মধ্যে পেনাল্টি নষ্ট করে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির জয়ের সম্ভাবনা শেষ করে দেন রিয়াদ মাহরেজ। তবে অন্য ম্যাচে সালজ়বুর্গকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে চেলসি। বেনফিকার সঙ্গে লড়াই করেও ৩-৪ গোলে হেরেছে জুভেন্টাস।