রিয়ালের ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।
ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা নিতে পারল না ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টাইব্রেকারে হেরে ছিটকে গেল তারা। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ১-১ থাকার পর টাইব্রেকারে জোড়া সেভ করে নায়ক রিয়াল গোলকিপার আন্দ্রে লুনিন। ৪-৩ জেতে রিয়াল। অন্য ম্যাচে, আর্সেনালকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে বায়ার্ন মিউনিখও। সেমিফাইনালে রিয়ালের বিরুদ্ধে খেলবে বায়ার্ন।
গত সপ্তাহে রিয়ালের ঘরের মাঠে ভাল খেলেছিল সিটি। ৩-৩ অমীমাংসিত হয়েছিল সেই ম্যাচ। ঘরের মাঠেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট ছিল তাদেরই। ১২ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রদ্রিগো। কিন্তু বাকি ম্যাচে রিয়ালের বক্সে একের পর এক আক্রমণ হানে ম্যান সিটি। গোটা ম্যাচে তাদের বল পজেশন ছিল ৬৪ শতাংশ। শট মেরেছে ৩৩টি। কিন্তু গোলে শট তুলনায় অনেক কম।
৭৬ মিনিটে সিটির হয়ে কেভিন দি ব্রুইন সমতা ফেরানোর পর অনেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রত্যাবর্তনের। তা হয়নি। ৯০ মিনিটে দুই পর্ব মিলিয়ে খেলার ফল ৪-৪ থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও কোনও গোল হয়নি। পেনাল্টি থেকে রিয়ালের লুকা মদ্রিচের প্রথম শটই বাঁচিয়ে দেন সিটি গোলকিপার এদেরসন। কিন্তু বের্নার্দো সিলভা এবং মাতেয়ো কোভাচিচের শট বাঁচিয়ে দেন রিয়াল গোলকিপার লুনিন। সেটাই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দেয় ম্যাচে।
ম্যাচের পর রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলোত্তি বলেছেন, “আমাদের কাছে এটা বাঁচার লড়াই ছিল। মাদ্রিদ এমন একটা ক্লাব যারা খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে সেরা লড়াইটা লড়ে। তখন কোনও রাস্তা থাকে না, তখকন মাদ্রিদ নিজেরাই রাস্তা খুঁজে নেয়। টাইব্রেকার হওয়ার সময়ই জানতাম আমরা সেমিফাইনালে যাব।” সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার কথায়, “এই ধরনের প্রতিযোগিতায় এমনই হয়। অন্য কোনও প্রতিযোগিতা হলে এ রকম পরিসংখ্যান নিয়ে হাসতে হাসতে জিততাম।”
এ দিকে, লন্ডনে গিয়ে ২-২ ড্র করার পর নিজেদের মাঠে আর্সেনালকে ১-০ হারাল বায়ার্ন। ম্যাচের একমাত্র গোল জোশুয়া কিমিখের। ৩০ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে বায়ার্নের মাঠে খেলবে রিয়াল। ৭ মে দ্বিতীয় পর্ব হবে রিয়ালের মাঠে।