এমবাপের সঙ্গে মেসির সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চলছে বিশ্বকাপের পর থেকেই। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপ ফাইনালের পর লিয়োনেল মেসি এবং কিলিয়ন এমবাপের সম্পর্ক নাকি তলানিতে ঠেকেছে। আগামী দিনে তাঁরা দু’জন প্যারিস সঁ জরমেঁর হয়ে এক সঙ্গে নাও খেলতে পারেন। কোনও এক জন দল পরিবর্তন করতে পারেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেন পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গালটিয়ে।
বিশ্বকাপ শেষে এমবাপে ক্লাবের অনুশীলন যোগ দিলেও এখনও আর্জেন্টিনাতেই রয়েছেন মেসি। বড়দিন এবং নতুন বছরের ছুটি কাটিয়ে তিনি ৩ জানুয়ারি প্যারিসে যাবেন। তার আগেই পিএসজি কোচ জানিয়েদিলেন তাঁর দলে কোনও সমস্যা নেই। গোটা পরিস্থিতির জন্য গালটিয়ে দায়ী করেছেন আর্জেন্টিনার বিতর্কিত গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে। বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনায় ফিরে বিজয় উৎসবে মার্তিনেস নানা ভাবে বিদ্রুপ করেন এমবাপেকে। একটি পুতুলের মুখে এমবাপের ছবি লাগিয়ে রসিকতাও করেন। সে সময় মেসি ছিলেন তাঁর প্রিয় ‘দিবু’র পাশেই। অথচ তিনি মার্তিনেসকে বাধা দেননি বলে অভিযোগ। তা থেকেই মনে করা হচ্ছিল মেসির সমর্থন করেছে মার্তিনেসের ওই কাজে। জল্পনা তৈরি হয়ে ভবিষ্যতে ক্লাবের জার্সিতে এমবাপে-মেসির পাশাপাশি খেলা নিয়েও।
গালটিয়ে বলেছেন, ‘‘আমার দুই ফুটবলারের মধ্যে সম্পর্ক ঠিকই আছে। আমি ওদের বিষয়টা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখব। মেসি কখনও কাউকে দোষারোপ করেনি। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর যা দেখেছি, তাতে কখনই মনে হয়নি মেসি কাউকে বিদ্রুপ করার চেষ্টা করছে। এরকম মনে হওয়ার কারণ এক জনের আচরণ। সে হল আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমার কাছে খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমবাপে হেরে গেলেও দারুণ ফুটবল খেলেছে ফাইনালে। এ রকম একটা ম্যাচে হারলে হতাশ তো হবেই। তাও খেলার শেষে ও মেসিকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। মেসির আচরণও ছিল সহজ। এটা আমাদের ক্লাব এবং দলের জন্য খুবই ভাল।’’
বিশ্বকাপের পরেই শোনা যায় এমবাপে পিএসজি ছাড়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তাঁর এজেন্ট রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও খবর ছড়ায়। যা মেসির সঙ্গে ফরাসি স্ট্রাইকারের সম্পর্ক ঘিরে জল্পনা আরও তীব্র করে।