ISL 2024-25

২৩ লাল কার্ড, ৫৮৯ হলুদ কার্ড! রেফারি হরিশ কুন্ডুর হাতেই যুবভারতীতে প্রথম অর্ধে ন’জনে ইস্টবেঙ্গল

ভারতীয় ফুটবল মহলে কড়া ধাঁচের রেফারি হিসাবে পরিচিত হরিশ। বাঁশি মুখে মাঠে নামলে রুল বুকই তাঁর কাছে শেষ কথা। কার্ড দেখাতে ইতস্তত করেন না কখনও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৪৮
Share:

হরিশ কুন্ডু। ছবি: এক্স (টুইটার)।

ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান ম্যাচের ২৯ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদের দুই ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন এ দিনের ম্যাচের রেফারি হরিশ কুন্ডু। দেশের অন্যতম সেরা রেফারি হিসাবে বিবেচনা করা হয় ৩২ বছরের হরিশকে। কড়া ধাঁচের রেফারি হিসাবেই তিনি পরিচিত ভারতীয় ফুটবল মহলে।

Advertisement

ক্লাব বা খেলোয়াড়ের নাম নিয়ে ভাবেন না হরিশ। বাঁশি মুখে মাঠে নামলে ফিফার রুল বুকই তাঁর কাছে শেষ কথা। নিজের বিবেচনায় যে সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে হয়, সেটাই নেন। কড়া রেফারি হিসাবে পরিচিত হরিশ কার্ড দেখাতে ইতস্তত করেন না কখনও। তাঁর নজর শনিবার এড়াতে পারলেন না ইস্টবেঙ্গলের দুই ফুটবলার নন্দকুমার শেকর এবং মহেশ সিংহ। নন্দকে সরাসরি লাল কার্ড এবং মহেশকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখিয়ে মার্চিং অর্ডার দেন।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ফিফা ব্যাজ পান হরিশ। আদতে হরিয়ানার বাসিন্দা হলেও তিনি দিল্লি ফুটবল সংস্থায় নথিভুক্ত। শনিবার পর্যন্ত ৩৫৩টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ২৩টি লাল কার্ড এবং ৫৮৯টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। আইএসএলের ৫৮টি ম্যাচ ছাড়াও আই লিগ, দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ, ডুরান্ড কাপ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং এএফসির বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে হরিশের। আই লিগ এবং আইএসএলের ম্যাচ মিলিয়ে মোট ১৯টি পেনাল্টি দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

শনিবার ম্যাচের ২৭ মিনিটের মাথায় বল দখলের লড়াই হয় ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমার ও মহমেডানের অমরজিতের মধ্যে। সেই সময় নন্দকুমার নিজের ডান হাত চালান। তাঁর হাত গিয়ে লাগে অমরজিতের মুখে। তিনি মাটিতে পড়ে যান। প্রথমে রেফারি হরিশ অমরজিতকে হলুদ কার্ড দেখান। মহমেডানের ফুটবলারেরা অভিযোগ করতে থাকেন যে নন্দকুমার অমরজিতকে মেরেছেন। পরে সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে ২৯ মিনিটের মাথায় নন্দকুমারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি।

রেফারির এই লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি মহেশ। তিনি রাগে বলে লাথি তাই মহেশকে হলুদ কার্ড দেখান তিনি। আগেই আরও একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মহেশ। ফলে তাঁকেও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। ২৯ মিনিটেই দুই ফুটবলার মাঠ ছাড়েন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement