নুনো রেইস। ছবি: এক্স (টুইটার)।
মহমেডানে প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া নুনো রেইসকে সই করিয়ে চমক মোহনবাগানের। কলকাতা ময়দানের দলবদলের ৮০-৯০ দশকের উত্তেজনার স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন সবুজ-মেরুন কর্তারা। রক্ষণ শক্তিশালী করতে সই করানো হল মেলবোর্ন সিটিতে জেমি ম্যাকলারেনের সতীর্থকে সপ্তম বিদেশি হিসাবে সই করাল মোহনবাগান।
পর্তুগালের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের সঙ্গে প্রায় পাকা কথা হয়ে গিয়েছিল সাদা-কালো শিবিরের। মহমেডান শিবিরের দাবি ছিল, রেইসের সঙ্গে এক বছরের চুক্তিও হয়ে গিয়েছে। ভিসা পেয়ে গেলেই এ দেশে চলে আসবেন। সব ঠিক থাকলে আইএসএলে প্রথম ম্যাচের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। স্বভাবতই রবিবার তাঁর মোহনবাগানে সইয়ের খবরে বিস্মিত হয়েছেন ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ।
মোহনবাগানে সই করার পর রেইস বলেছেন, ‘‘আমার কাছে অনেকগুলো দেশে খেলার প্রস্তাব ছিল। ভারতের একাধিক ক্লাব যোগাযোগ করেছিল। কলকাতারই আর একটি ক্লাবের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তবে ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং ধারাবাহিক সাফল্য আমাকে মোহনবাগান সম্পর্কে উৎসাহিত করেছে। ক্লাব ম্যানেজমেন্টের পেশাদারিত্বও আমাকে মুগ্ধ করেছে। ম্যাকলারেন-সহ কয়েক জন পরিচিত ফুটবলার সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলছে। ওদের কাছ থেকে সমর্থকদের আবেগ, উচ্ছ্বাসের কথাও শুনেছি। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার। খুব তাড়াতাড়ি ভারতে পৌঁছব। সবুজ-মেরন জার্সি পরে দেখা হবে।’’
মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন রেইস। আশা করা হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতা এসে দলের অনুশীলনে যোগ দেবেন। রেইস এলে রক্ষণের সমস্যা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আইএসএল ছাড়াও এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কথা মাথায় রেখে তাঁকে দলে নিয়েছেন সবুজ-মেরুন কর্তৃপক্ষ।
ছ’ফুট উচ্চতার ফুটবলার পর্তুগালের যুব দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন পর্যায় পর্তুগালের হয়ে ৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন। যদিও সিনিয়র দলের হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও ফ্রান্স, বেলজিয়াম, গ্রিসে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন। রক্ষণের পাশাপাশি মাঝমাঠেও খেলতে পারেন।