পেপেকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: রয়টার্স।
পর্তুগালের জার্সি গায়ে কি শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো? ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হেরে ইউরো কাপ থেকে বিদায় নিতেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। ৩৯ বছরের রোনাল্ডো এখনও কিছু জানাননি। কোচ রোবের্তো মার্তিনেস যদিও জানিয়েছেন, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি পর্তুগালের অধিনায়ক।
শুক্রবার রাতে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে হেরে যায় পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে ইউরো থেকে বিদায় নিলেন রোনাল্ডোরা। এক সময় বিশ্ব ফুটবল শাসন করা রোনাল্ডোর খেলায় বয়সের ছাপ পড়েছে। আগের থেকে গতি কমেছে। নিখুঁত শট নিতে সমস্যা হচ্ছে। সমর্থকদের একাংশের মতে, রোনাল্ডোর এ বার অবসর নেওয়া উচিত।
পর্তুগালের আরও এক ফুটবলারের অবসর নিয়ে জল্পনা রয়েছে। তিনি পেপে। রক্ষণভাগের এই ফুটবলারের বয়স ৪১ বছর। রোনাল্ডো এবং পেপে একসঙ্গে দীর্ঘ দিন খেলেছেন। শুধু দেশের হয়ে নয়, রিয়াল মাদ্রিদের হয়েও একসঙ্গে খেলেছেন তাঁরা। শুক্রবার ম্যাচ শেষে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন রোনাল্ডো এবং পেপে। তাঁদের চোখে জল। সেই ছবি রোনাল্ডোদের বিদায় নিয়ে আরও বেশি করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।
পেপের চোখের জল থামছিল না। রোনাল্ডো তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। গত ম্যাচে পেনাল্টি ফস্কানোর পর কাঁদছিলেন রোনাল্ডো। সেই ম্যাচেই হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। টাইব্রেকারে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল পর্তুগাল। সেখানে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হারতে হল সেই টাইব্রেকারেই।
ম্যাচ শেষে পেপে বলেন, “রোনাল্ডো আমাকে জড়িয়ে ধরল। ওটই মুহূর্তটা আমার কাছে বিশেষ। এটা অবসর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নয়। আমরা হতাশ। রোনাল্ডো আমার ভাইয়ের মতো। পরে এই বিষয়ে কথা বলব।”
পর্তুগালের কোচ মার্তিনেস বলেন, “হতাশায় কাঁদছিল ওরা। পর্তুগিজ ফুটবলের অনুপ্রেরণা পেপে। যে ভাবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ও খেলল এবং এই প্রতিযোগিতায় খেলল, তা চির দিন মনে থাকবে। পরের প্রজন্মও মনে রেখে দেবে।” রোনাল্ডো এবং পেপের অবসর প্রসঙ্গে কোচ বলেন, “একটু আগেই ম্যাচ শেষ হয়েছে। হারের যন্ত্রণায় বিদ্ধ আমরা। এখনই কোনও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেয়নি ওরা।”