মোহনবাগানের গ্রেগ স্টুয়ার্ট (বাঁ দিকে) এবং জেসন কামিংস। ছবি: এক্স।
সপ্তাহখানেক পরেই মরসুমের দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বি। তার দশ দিন আগে ডুরান্ড কাপে ছ’গোলে জিতে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বিতে সাফল্য পাওয়া নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী সবুজ-মেরুনের বিদেশি ফুটবলারেরা। ডার্বির আগে মোহনবাগানের নতুন বিদেশি গ্রেগ স্টুয়ার্ট আইএসএলের ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন, প্রথম ডার্বিতেই গোল করতে চান। অন্য দিকে, আর এক বিদেশি জেসন কামিংস জানালেন, কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ড্র দরকার হলেও তাঁরা ম্যাচটা জিততে চান।
বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় বায়ুসেনাকে ৬-০ হারায় মোহনবাগান। বড় জয়ের ফলে গোলের ব্যবধানের বিচারে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে তারা। অর্থাৎ, ১৮ অগস্ট ডার্বিই হতে চলেছে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল। জয়ী দলই গ্রুপ থেকে শেষ আটে জায়গা করে নেবে। গোলের ব্যবধানে মোহনবাগান এগিয়ে থাকায় ড্র হলে তারাই গ্রুপ সেরা হিসেবে নকআউটে যাবে।
বায়ুসেনার বিরুদ্ধে পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোল করেন অস্ট্রেলীয় ফরোয়ার্ড জেসন কামিংস। দশ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ান স্কটিশ ডিফেন্ডার টম অলড্রেড। ৩৮ মিনিটে তৃতীয় গোল এনে দেন লিস্টন কোলাসো। ৬৫ মিনিটে দূরপাল্লার শটে আশিস রাইয়ের অনবদ্য গোলের পর কামিংস তাঁর দ্বিতীয় গোলটি করেন ৭৬ মিনিটে। সব শেষে সংযুক্তি সময়ের প্রথম মিনিটে ছ’নম্বর গোলটি করেন মিডফিল্ডার গ্রেগ স্টুয়ার্ট।
গোল পেয়ে খুশি স্টুয়ার্ট বলেছেন, “১৫ মিনিট মাঠে ছিলাম। তাতেই গোল পেয়েছি। যদিও ম্যাচটা জেতাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সতীর্থদের জন্য খুবই খুশি। আরও গোল করতে পারতাম আমরা। একসঙ্গে প্রথম ম্যাচ খেলছি। প্রত্যেকেই খুশি।”
আইএসএলে দু’টি ক্লাবের লিগ-শিল্ড জয়ে স্টুয়ার্টের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ২০২১-২২ মরসুমে সোনার বল জেতেন তিনি। গত আইএসএলে প্রথমে গোল ও পরে অ্যাসিস্ট করে মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারানো স্টুয়ার্ট আসন্ন ডার্বি নিয়ে বলেছেন, “ডার্বির আগে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। এই শহরের মানুষের কাছে কলকাতা ডার্বির কী গুরুত্ব তা খুব ভাল করেই জানি। আশা করি, সেই ম্যাচের আগে নিজেদের প্রস্তুত করে নেব এবং ভাল ফলও পাব। ডার্বিতে অবশ্যই গোল করতে চাই।”
মোহনবাগানে সই করার পরেও স্টুয়ার্ট বলেছিলেন, “যুবভারতীতে কলকাতা ডার্বি খেলার প্রবল ইচ্ছেই মোহনবাগানে সই করার একটা বড় কারণ। কলকাতা ডার্বি এশিয়ার অন্যতম সেরা। এই ম্যাচে মাঠে নামার স্বপ্নও দেখি। ভারতে অনেক কঠিন ম্যাচে জিতেছি। কিন্তু ডার্বি জেতার স্বাদ পাইনি। এ বার সেই স্বাদ পেতে চাই।”
ডার্বির আগের ম্যাচেই জোড়া গোল পেয়ে উত্তেজিত কামিংসও। গত আইএসএলে মোহনবাগানের হয়ে ১২টি গোল করেছিলেন। তিনি বলেছেন, “ছ’গোলে জয়ের পর দলের ছেলেরা সবাই আত্মবিশ্বাসী। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা ওই ম্যাচের জন্য তৈরি হচ্ছি। জিততেই নামব।”
স্টুয়ার্টের সঙ্গে প্রথম মাঠে নামার অভিজ্ঞতা নিয়ে কামিংস বলেছেন, “গ্রেগের সঙ্গে এই প্রথম খেললাম। আমিই সাহায্য করেছিলাম ওর গোলে। ওর বিরুদ্ধে কয়েক বার খেলেছি আমি। তাই ও কত ভাল ফুটবলার আমি জানি। ভারতে খেলারও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে ওর।”