মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো হাবাস। ছবি: এক্স।
আইএসএলের লিগ-শিল্ড জিতে এমনিতেই আসল লক্ষ্যপূরণ হয়ে গিয়েছে মোহনবাগানের। রবিবার তারা নামছে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে। ফাইনালে উঠে ট্রফি জিততে পারলে পূরণ হবে ‘ডাবল’-এর স্বপ্নও। কিন্তু ওড়িশার কাছে বিপক্ষের মাঠে ১-২ গোলে হেরে এসেছে মোহনবাগান। রবিবার যে তাঁদের সামনে আর একটা ফাইনাল, সেটা ম্যাচের আগে স্পষ্ট করে দিলেন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। একই সঙ্গে এটাও জানালেন, ৯০ মিনিটেই ম্যাচ শেষ করতে চান তাঁরা।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে হাবাস বলেছেন, “কোনও ম্যাচে হারলে আগে নিজেদের পর্যালোচনা করতে হয়। আমার মনে হয়েছে আগের ম্যাচে দল ১০০ শতাংশ দিতে পারেনি। সেই জেদটা ছিল না। লিগ জেতার পরে যে কোনও ফুটবলারই একটু ঢিলে দিয়ে ফেলে। এটা খুবই স্বাভাবিক। মনে হয় আমার দলের ফুটবলারদের মধ্যেও সেটা চলে এসেছিল। তাতেই গন্ডগোল হয়েছে। তবে রবিবারের ম্যাচে ১০০ শতাংশ দিতেই নামব। কালকের ম্যাচও আমাদের কাছে ফাইনালের মতোই।”
রবিবারের ম্যাচে ওড়িশার পাশাপাশি কলকাতার প্রবল গরমও মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ। সন্ধ্যাবেলাতেও তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকছে। ঘাম হচ্ছে। তাতে ফুটবলারেরা ক্লান্ত হয়ে পড়তেই পারেন। মোহনবাগানে এক গোলের ব্যবধানে জিতলে অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়াবে। তার পর টাইব্রেকার। হাবাস কি ৯০ মিনিটেই জিততে চান? মোহনবাগানের কোচ বললেন, “ওড়িশার থেকে এখানে গরম এবং আর্দ্রতা বেশি। আমি এখনই অতিরিক্ত সময় নিয়ে ভাবছি না। আপাতত ৯০ মিনিটে জেতার ভাবনা রয়েছে। তার পরে অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে ভাবা যাবে কী হতে পারে। তবে ১২০ মিনিট খেলার মতো দক্ষতা আমার দলের রয়েছে।”
ওড়িশার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বে আর্মান্দো সাদিকুকে পাবে না মোহনবাগান। চোটের জন্য নেই ব্রেন্ডন হামিলও। সেই প্রসঙ্গে হাবাস বলেছেন, “দলে কারা নেই সেটা নিয়ে ভাবতে রাজি নই। আমার ভাবনা গোটা দল নিয়ে। যাঁরা রয়েছে তাঁদের নিয়ে। বিপক্ষে অনেক ভাল ফুটবলার রয়েছে। আমি ম্যাচ নিয়ে বেশি চিন্তিত।”
ওড়িশার রয় কৃষ্ণকে নিয়েও চিন্তা রয়েছে মোহনবাগানের। আগের ম্যাচে সবুজ-মেরুনের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার। রবিবারের ম্যাচেও তিনি পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। কৃষ্ণের জন্য কি চার ডিফেন্ডারে ফিরতে পারে মোহনবাগান। হাবাসের উত্তর, “একটা ম্যাচের জন্য এ ভাবে ফর্মেশন বদলানো যায় না। এখন ফর্মেশন বদলানোর কোনও সময় নেই। ২-৩ দিনে ওটা হয় না। রিকভারি, ম্যাচের পরিকল্পনার সময় দিতে হবে।”
মোহনবাগানের পক্ষে আশার কথা, রবিবারের ম্যাচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে সাহাল আব্দুল সামাদের। দুই বিদেশি বাকি যাঁরা রয়েছেন তাঁরাও মোটামুটি সুস্থ। শুরু থেকে দিমিত্রি পেত্রাতোসের সঙ্গে জেসন কামিংসের খেলার কথা। মনবীর সিংহকে ব্যবহার করা হবে রাইট উইংয়ে।