ISL 2023-24

শনিবার সামনে পঞ্জাব, ট্রফি ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়েই আইএসএল অভিযান শুরু করছে মোহনবাগান

আইএসএলে এখনও পর্যন্ত কোনও দলই টানা দু’বার ট্রফি জিততে পারেনি। পরে চালু হওয়া লিগ-শিল্ডও টানা দু’বার কোনও দলের হাতে ওঠেনি। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কি সেই কাজ করে দেখাতে পারবে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:১৯
Share:

মোহনবাগান দল। ছবি: টুইটার।

দশম আইএসএল শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। এখনও পর্যন্ত কোনও দলই টানা দু’বার ট্রফি জিততে পারেনি। পরে চালু হওয়া লিগ-শিল্ডও টানা দু’বার কোনও দলের হাতে ওঠেনি। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কি সেই কাজ করে দেখাতে পারবে? উত্তর এখনই হয়তো বলা যাবে না। তবে শনিবার পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে এ বারের আইএসএল অভিযান শুরু করার আগে গোটা দলের লক্ষ্য ট্রফি ধরে রাখাই।

Advertisement

তুলনায় সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আইএসএল শুরু করছে মোহনবাগান। আই লিগ থেকে এ বারই উঠে এসে আইএসএলে নামছে তারা। আইএসএলের বাকি দলগুলির তুলনায় তাদের বাজেটও কম। ফুটবলারের মানও বিরাট আহামরি কিছু নয়। কিন্তু মোহনবাগানের সঙ্গে পাল্লা দিতে তারাও ফুটছে উত্তেজনায়।

মোহনবাগানের কাজটা অবশ্য সহজ নয়। আশিক কুরুনিয়ন গোটা মরসুমের জন্যেই ছিটকে গিয়েছেন। তার উপর পঞ্জাব ম্যাচে অনিরুদ্ধ থাপাকে পাওয়া যাবে না কার্ড সমস্যায়। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখায় খেলতে পারবেন না তিনি।

Advertisement

মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো কোনও দিন বিতর্কিত কথা বলায় বিশ্বাসী নন। প্রথম ম্যাচের আগে তিনি বললেন, “নতুন মরসুম। সবাই নিজেদের দল গুছিয়ে নিয়েছে। আমিও নিজের দল নিয়ে খুশি। ট্রফি ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে নামছি। কিন্তু ধরে রাখতে পারব কি না সেটা এখনই বলা মুশকিল। অতীতের কথা কখনও ভাবি না। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েই নামব।”

কেন ট্রফি ধরে রাখা মুশকিল তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ফেরান্দো। বলেছেন, “আমার মতে মোহনবাগান এবং পঞ্জাব দু’দলই সমান জায়গায়। অন্যান্য দেশের লিগের মতো প্রতি বার শুধু ২-৩টে দলই ট্রফির জন্যে লড়ে না। প্রত্যেকেই সমান ভাবে লড়াই করে। এটা ভারতের ফুটবলের জন্যেই ভাল।”

আইএসএল অভিযান শুরুর মাঝে এএফসি কাপও খেলবে। ঘন ঘন ম্যাচ খেলার ক্লান্তি ফুটবলারদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে বাধ্য। এ বিষয়ে ফেরান্দোর মত, “আমরা দেশের অন্যতম সেরা ক্লাব। যে কোনও বড় ক্লাবকেই অনেক প্রতিযোগিতায় খেলতে হয়। এটাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ। আপাতত আমার পাখির চোখ কালকের ম্যাচ। গোটা মরসুমে ফুটবলারেরা যাতে চোটমুক্ত থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

দলের শক্তি আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। ডিফেন্স যেমন শক্তিশালী হয়েছে, তেমনই জেসন কামিংস, আর্মান্দো সাদিকুর মতো ফুটবলার আসায় আক্রমণভাগও লড়াকু। গোটা মরসুমে এটা তাঁকে বাড়তি সুবিধা দেবে কি না, এই প্রশ্নে ফেরান্দো বলেছেন, “ভবিষ্যতের কথা জানি না। কিন্তু আমার দলে আক্রমণ শুরু হয় সেন্টার ফরোয়ার্ড থেকে। দুই উইঙ্গার আক্রমণে উঠে যায়। আবার প্রয়োজনে নামতেও পারে। এটাই দলটার শক্তি।”

আশিকের চোট নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত শুনিয়েছে ফেরান্দোর গলা। বলেছেন, “আশিক আমার পরিকল্পনায় ছিল। কত দিন ও মাঠের বাইরে থাকবে জানি না। কিন্তু এখন আমাদের সবাইকে ওর পাশে দাঁড়াতে হবে। যে কোনও ফুটবলার ছিটকে গেলেই মানসিক ভাবে হতাশ হয়ে পড়ে। সেই সময় পাশে দাঁড়ালে দ্রুত আঘাত সারে। আমরাও পুরোপুরি আশিকের পাশে রয়েছি।”

আশিকের বদলে যাঁকে বাঁ দিকের উইংয়ে দায়িত্ব নিতে হবে, সেই লিস্টন বলেছেন, “আশিক ভাল ফুটবলার। বাড়তি দায়িত্ব উপভোগ করতে চাই। তবে আমাদের দলে সব ফুটবলারেরই যে কোনও পজিশনে খেলার মতো দক্ষতা রয়েছে। পরের মরসুমে যে সুযোগ আমার কাছে আসবে তা কাজে লাগাতে চাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement