জুটি: অনুশীলনে কামিংস ও মনবীর। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসকে নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে মোহনবাগানে। চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন থেকেই অসুস্থতার কারণে হোটেলবন্দি স্পেনীয় কোচ। বুধবার থেকে পঞ্জাব এফসি ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করার কথা থাকলেও দেখা যায়নি হাবাসকে। কী হয়েছে হাবাসের? আগামী শনিবার নয়াদিল্লিতে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে কি ডাগআউটে দেখা যাবে তাঁকে? সহকারী কোচ ম্যানুয়েল কাসকালানা যদিও দাবি করলেন, ‘‘আগের চেয়ে অনেকটাই ভাল আছেন হাবাস। সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার অনুশীলনে যোগ দেবেন।’’
২০ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল টেবলের শীর্ষ স্থানে এই মুহূর্তে মুম্বই সিটি এফসি। মঙ্গলবারই পঞ্জাবকে হারিয়ে মোহনবাগানকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ওড়িশা এফসি-র সংগ্রহে ২০ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে তৃতীয় স্থানে থাকা মোহনবাগানেরও ৩৯ পয়েন্ট। কিন্তু গোল পার্থক্যে পিছিয়ে রয়েছেন দিমিত্রি পেত্রাতস-রা। গত বারের চ্যাম্পিয়নদের পরের ম্যাচ শনিবার দিল্লিতে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। তার পরে ১১ এপ্রিল বেঙ্গালুরুতে মনবীর সিংহ-দের প্রতিপক্ষ সুনীল ছেত্রী-রা। লিগের শেষ ম্যাচ ১৫ এপ্রিল যুবভারতীতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে।
মোহনবাগান কি পারবে বাকি তিনটি ম্যাচ জিতে লিগ-শিল্ডে চ্যাম্পিয়ন হতে? জনি কাউকো, দিমিত্রি পেত্রাতস-রা আশাবাদী। বুধবার সন্ধেয় অনুশীলনের পরে আত্মবিশ্বাসী সবুজ-মেরুনের দুই তারকা বললেন, ‘‘টানা তিনটি ম্যাচ জেতা কঠিন ঠিকই, কিন্তু অসম্ভব নয়। আমরা প্রবল ভাবেই আশাবাদী এই মরসুমে লিগ-শিল্ড জয়ের ব্যাপারে।’’ মনবীর সিংহ রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বললেন, ‘‘লিগ-শিল্ডের ফয়সালা হবে ঘরের মাঠেই। যুবভারতীতে মুম্বইকে আমরা হারাব।’’ বুধবারের অনুশীলনে গোল করার উপরেই ম্যানুয়েল বেশি জোর দিয়েছিলেন। দিমিত্রি, মনবীর, জেসন কামিংস ও লিস্টন কোলাসোর সঙ্গে সুহেল বাটকে রেখে দীর্ঘক্ষণ গোল করার মহড়া সারেন। তবে সাহাল আব্দুল সামাদকে নিয়ে অস্বস্তি দূর হচ্ছে না সবুজ-মেরুন শিবিরে। বুধবারও যুবভারতীতে তিনি শুধু রিহ্যাব করলেন। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে কি খেলতে পারবেন? সাহাল বললেন, ‘‘আমি চেষ্টা করছি দ্রুত মাঠে ফেরার। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলব কি না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল।’’