Mohun Bagan

এএফসি বাকিদের ম্যাচ ইরান থেকে সরালেও মোহনবাগান ‘বাতিল’ কেন? ক্ষুব্ধ সবুজ-মেরুন

নভেম্বর পর্যন্ত ইরানে কোনও ম্যাচ হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে এএফসি। তা হলে কোন যুক্তিতে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ থেকে ‘বাতিল’ করা হল? ক্ষুব্ধ সবুজ-মেরুন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ২০:২৮
Share:

মোহনবাগান ফুটবল দল। —ফাইল চিত্র।

এএফসি-র উপর ক্ষুব্ধ মোহনবাগান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ম্যাচ খেলতে মোহনবাগান ইরানে না যাওয়ায় তাদের প্রতিযোগিতা থেকে ‘বাতিল’ করেছে এএফসি। অথচ বুধবার তারা জানিয়েছে, নভেম্বর পর্যন্ত ইরানে কোনও ম্যাচ হবে না। তা হলে কোন যুক্তিতে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ থেকে ‘বাতিল’ করা হল? প্রশ্ন তুলেছে মোহনবাগান। এএফসি-র সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সবুজ-মেরুন।

Advertisement

বুধবার এএফসি জানিয়েছে, ইরানে এস্তেঘলাল বনাম আল নাসের ও ট্র্যাক্টর এফসি বনাম রাভশান এফসির ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। সেই দু’টি ম্যাচ ইরানে হবে না। ইরান ফুটবল সংস্থাকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে তারা। এস্তেঘলাল বনাম আল নাসেরের ম্যাচ সম্ভবত দুবাইয়ে হবে। অপর ম্যাচও অন্য কোনও দেশে হবে। এই সিদ্ধান্তের পরেই ক্ষুব্ধ মোহনবাগান।

এর আগে সোমবার এএফসি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ২ অক্টোবর ইরানের তাবরিজ়ে ট্র্যাক্টর এফসির বিরুদ্ধে খেলা ছিল মোহনবাগানের। সেখানে তারা খেলতে যায়নি। তাই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ৫.২ ধারা অনুযায়ী ধরে নেওয়া হয়েছে যে মোহনবাগান এই প্রতিযোগিতা থেকে তাদের নাম তুলে নিয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছিল, প্রতিযোগিতার নিয়মের ৫.৬ ধারা অনুযায়ী, এই প্রতিযোগিতায় মোহনবাগান এখনও পর্যন্ত যতগুলি ম্যাচ খেলেছে সবগুলি বাতিল হিসাবে ধরা হচ্ছে। তাই ৮.৩ ধারা অনুযায়ী, গ্রুপ এ-র পয়েন্ট তালিকা হিসাব করার সময় মোহনবাগানের পয়েন্ট বা কোনও গোল হিসাব করা হবে না। ফলে গ্রুপটি এখন তিন দলের ধরা হবে।

Advertisement

এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মোহনবাগান। তাদের অভিযোগ, অন্য ক্লাবের খেলা ইরান থেকে অন্য দেশে সরিয়ে দেওয়া হলে তাদের খেলা কেন সরানো হল না? শুরু থেকে ইরানে যাওয়া নিয়ে কোনও আপত্তি ছিল না মোহনবাগানের। এমনকি, ইরান যাওয়ার জন্য বেঙ্গালুরু পৌঁছে গিয়েছিল দল। বিমানের টিকিট ও হোটেলের ঘর ভাড়া বাবদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে তাদের। তার পরেই সমস্যা শুরু হয়। ইজ়রায়েলের সঙ্গে সঙ্ঘাতে ইরানের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় ভারত-সহ বেশির ভাগ দেশের সরকারই তাদের জনগণকে ইরানে যেতে বারণ করে। মোহনবাগানের বেশির ভাগ বিদেশি অস্ট্রেলিয়ার। সে দেশের তরফে ইরানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক খেলোয়াড় এবং তিন কোচিং স্টাফ স্পেনের। বাকিরা স্কটল্যান্ড এবং পর্তুগালের। সব দেশের তরফেই ইরানে না যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ফুটবলারেরা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, তাঁরা খেলতে যাবেন না। ফুটবলারদের দাবি মেনে এএফসির কাছে আবেদন করেছিল ক্লাব। তা হলে কেন তাদের আবেদন মানা হল না? প্রশ্ন সবুজ-মেরুনের।

মোহনবাগানের অভিযোগ, ফিফা ক্রমতালিকায় ভারত অনেক পিছিয়ে থাকায় তাদের সঙ্গে ‘দ্বিচারিতা’ করা হয়েছে। কাতার, সৌদি আরবের মতো দেশ ক্রমতালিকায় অনেক এগিয়ে। বিশ্ব ফুটবলে এখন তাদের দাপট রয়েছে। আল নাসেরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো ফুটবলার খেলেন। সেই কারণে তাদের ম্যাচ সরানো হয়েছে। কিন্তু ভারত বিশ্ব ফুটবলে অনেকটা পিছিয়ে থাকায় তাদের কথা শোনা হয়নি। এই বিষয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাও তাদের কোনও ভাবে সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করেছে বাগান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement