হোসে মোলিনা। —ফাইল চিত্র।
আইএসএলের প্রথম সেমিফাইনালে জামশেদপুর এফসির কাছে ১-২ ব্যবধানে হারতে হয়েছে মোহনবাগানকে। ফাইনালে ওঠার পথে ধাক্কা খেতে হলেও আত্মবিশ্বাসী সবুজ-মেরুন কোচ হোসে মোলিনা। দলের খেলায় খুশি তিনি। মোলিনার বিশ্বাস যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে উঠবে তাঁর দল।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে আধিপত্য রেখেও জিততে পারেনি মোহনবাগান। আগামী সোমবার ঘরের মাঠে অন্তত দু’গোলের ব্যবধানে জিততে হবে শুভাশিস বসুদের। প্রথম সেমিফাইনালের পর মোলিনা বলেছেন, ‘‘আমাদের সব ম্যাচ জিততে হবে, এমন কোনও কথা নেই। বিশ্বের কোথাও এমন হয় না। হারলেও এগিয়ে যেতে হয়। চাপ তো সব ম্যাচেই থাকে। সেই চাপ সামলেই খেলতে হয়। প্রথম সেমিফাইনালে আমরা জিততে পারিনি। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল আমাদের জেতার চেষ্টা করতে হবে। আশা করি, আমরা অনেক ভাল খেলব এবং ফাইনালে যাব।” তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রথমার্ধে অধিকাংশ সময় বল ছিল আমাদের ফুটবলারদের পায়ে। তবু আমরা আক্রমণগুলো ঠিক ভাবে শেষ করতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু জামশেদপুরের গোলরক্ষক এবং রক্ষণভাগের খেলোয়াড়েরা খুব ভাল ভাবে পরিস্থিতি সামলেছে। প্রতিপক্ষ রক্ষণে সব সময় ছ’-সাত জন ফুটবলার রেখে খেললে গোল করা কঠিন হয়। তার মধ্যেও আমরা সুযোগ তৈরি করেছি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুটো ভাল সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। কাজে লাগাতে পারলে সে সময় ৩-১ গোলে এগিয়ে যেতে পারতাম। জামশেদপুর প্রতি আক্রমণে উঠে গোল করেছে। ওরা সাহসী ফুটবল খেলার সুফল পেয়েছে।’’
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে চোটের জন্য মোলিনা পাননি আপুইয়া এবং মনবীর সিংহকে। পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হয় তাঁকে। তা নিয়ে লিগশিল্ড জয়ী কোচ বলেছেন, ‘‘ওরা না থাকায় পরিকল্পনা বদলাতে হয়েছিল। যে পরিকল্পনায় দলকে খেলিয়েছি, সেটাও খারাপ ছিল না। মনবীর থাকলে যে কৌশলে খেলি আমরা, ও না থাকলে তো সেই পরিকল্পনায় খেলা সম্ভব নয়। তা ছাড়া ২০-২৫ দিন পর ম্যাচ খেলল ফুটবলারেরা। সব মিলিয়ে খারাপ খেলেনি। দু’গোল খেতে কার ভাল লাগে? তবু আমি দলের খেলায় খুশি। সল্টলেকে অন্য খেলা দেখবেন।’’
পিছিয়ে পড়েও মোলিনা আশা ছাড়ছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘ঘরের মাঠে ম্যাচ আমাদের কাছে চাপের নয়। আনন্দ করে খেলতে পারি আমরা। ৫০-৬০ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে ভালই লাগে। পরের ম্যাচে আরও ভাল খেলব আমরা। তবে হ্যাঁ, এই পর্যায়ের লড়াই কখনও সহজ হয় না। জামশেদপুর ৩ গোলে জিতে থাকলে আমাদের কাজটা বেশ কঠিন হত। পরের ম্যাচেও আমাদের কৌশল একই রকম থাকবে। আমরা আরও ভাল খেলার চেষ্টা করব।’’ তাঁর আশা, আগামী সোমবার যুবভারতীতে সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা আসবেন ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে।