গোলের পর আলবের্তোর উল্লাস। শনিবার যুবভারতীতে। ছবি: সমাজমাধ্যম।
শনিবার ঘরের মাঠে ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে ঝড় তুলে যে ভাবে কেরল ব্লাস্টার্সের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছে মোহনবাগান তাতে খুশি হলেও দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স খুশি করতে পারেনি কোচ হোসে মোলিনাকে। ম্যাচের পর তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ মরসুমের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স হয়েছে এই ম্যাচেই।
শনিবার এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেও কেরলের জোড়া গোলে পিছিয়ে যায় মোহনবাগান। তবে শেষ দশ মিনিটে পর পর দু’টি গোল করে জিতে যায় গত বারের লিগ-শিল্ড জয়ীরা। ৮৬ ও ৯৫ মিনিটে গোল করে দলকে ৩-২ ব্যবধানে জেতান জেসন কামিংস ও আলবের্তো রদ্রিগেস।
ম্যাচের পর মোলিনা বলেছেন, “দলের জয়ে আমি খুশি। তবে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। দিনটা একেবারেই আমাদের ছিল না। সম্ভবত এ মরসুমে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স হয়েছে আজ। কেরল যথেষ্ট ভাল খেলেছে। প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। তবু ম্যাচের শেষ পর্যন্ত আমার দলের যে ছেলেরা লড়াই করেছে এটাই সবচেয়ে ভাল দিক। আমরা শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়িনি। তবে অনেক ভুল পাস খেলেছি।”
মোলিনা দলের খেলায় খুশি না হলেও পরিসংখ্যান অনুযায়ী তাঁর দল মোট দশটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছে ও সাতটি শট গোলে রেখেছে। সেখানে ব্লাস্টার্স আটটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছে ও আটটি শট গোলে রেখেছিল। তবু মোলিনার মতে, নিজেদের দোষেই দু’টি গোল হজম করেছেন তাঁরা। স্পেনীয় কোচের কথায়, “কেরলের প্রথম গোলটা হয়েছে আমাদেরই ভুলে। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও বিশালের হাত থেকে বল ফস্কে গিয়েছিল। তবু বলব, বিশাল যথেষ্ট ভাল গোলকিপার। সেই প্রমাণও দিয়েছে। এরকম ভুল সবারই হয়। তবে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। ছেলেদের প্রতি আমার পুরো আস্থা রয়েছে। ওরা আরও ভাল খেলবে।”
দলের ফুটবলারদের পরিশ্রম এবং হার-না-মানা মনোভাবের প্রশংসা করেছেন মোলিনা। আলাদা করে বলেছেন আলবের্তো এবং আশিক কুরুনিয়নের নাম। বলেছেন, “আলবার্তো সবাইকে চমকে দিয়েছে। দারুণ ফিনিশ করেছে। আশিকও খুব ভাল খেলেছে। যে দুটো ক্রস দিয়েছে তা অসাধারণ। ও ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড়। তবে চোট পায় বলে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। আশা করি বাকি মরসুমে আরও ভাল খেলবে। দিমি, ম্যাকলারেনও দারুণ খেলেছে।”
পরের ম্যাচ গোয়ার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে। সেই ম্যাচ নিয়ে চাপে নেই মোলিনা। বলেছেন, “যদি গোয়ার কাছে হারি এবং বাকি সব ম্যাচে জিতি তা হলে কি আমরা লিগ-শিল্ড জিততে পারব না? নিশ্চয়ই পারব। তাই শুধু গোয়া ম্যাচ নয়, সব ম্যাচই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”