মোহনবাগান অ্যাভিনিউয়ের উদ্বোধন করছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। —নিজস্ব চিত্র
ইস্টবেঙ্গলের শহর বলা হয় শিলিগুড়িকে। উত্তরবঙ্গের এই শহরেই মোহনবাগানের নামে রাস্তার নামকরণ করা হল। শিলিগুড়ির মহানন্দা ব্রিজ সংলগ্ন এয়ারভিউ মোড় থেকে যে রাস্তা নিরঞ্জন ঘাটের দিকে নামে, সেই রাস্তা ধরে সূর্য সেন পার্ক পর্যন্ত রাস্তার নাম রাখা হল ‘‘মোহনবাগান অ্যাভিনিউ।’’ আর সেই রাস্তা উদ্বোধন হতেই পড়শি ক্লাবকে খোঁচা দিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত।
মোহনবাগান অ্যাভিনিউয়ের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বেজায় উচ্ছ্বসিত সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। শনিবার শিলিগুড়িতে পৌঁছেছিলেন দেবাশিস-সহ অনেক সমর্থক। গোটা শহরকে সবুজ-মেরুন রঙে সাজিয়ে তুলেছেন তাঁরা। রবিবার সকালে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড থেকে মিছিল করে তাঁরা পৌঁছন মোহনবাগান অ্যাভিনিউতে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র, ডেপুটি মেয়র, মেয়র পারিষদ, জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনার। গান গেয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন শহরের মেয়র গৌতম দেব।
মোহনবাগান অ্যাভিনিউয়ের ফলক উদ্বোধন করেন গৌতম ও দেবাশিস। তার পর অ্যাভিনিউ ধরে হাঁটতে হাঁটতে মেয়র বলেন, ‘‘এর পর এখানে ইস্টবেঙ্গল লেনও হবে। ওদের কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারিখ ঠিক হলেই ইস্টবেঙ্গল লেনের কাজ শুরু হবে। মোহনবাগানের পাশে ইস্টবেঙ্গল না দৌড়লে তো লড়াই জমবে না। এই লড়াই শতাব্দীপ্রাচীন লড়াই।’’ মেয়র আরও বলেছেন, ‘‘মোহনবাগান অ্যাভিনিউয়ের কাজ এখনও চলছে। কী ভাবে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলা যায় সেই চেষ্টা করছে পুরনিগম। মোহনবাগান ক্লাবের প্রতীক পালতোলা নৌকা। তাই মহানন্দা নদীর পাশে মোহনবাগান অ্যাভিনিউয়ের নামকরণ যথার্থ হয়েছে।’’
মেয়র ইস্টবেঙ্গলের কথা বললেও পড়শি ক্লাবকে খোঁচা মারেন মোহবাগান সচিব। দেবাশিস বলেন, ‘‘যেটা প্রথমে হয় সেটাই সবাই মনে রাখে। এর পর অনেক কিছু হবে। কিন্তু সেই সব কেউ অত মাথায় রাখবে না। শুধুমাত্র শিলিগুড়ি নয়, পশ্চিমবঙ্গে কোথাও কখনও এমন হয়নি। ১৩৫ বছর বয়স হতে চলল ক্লাবের। কলকাতার বাইরে এটা হবে কেউ কখনও ভাবেননি। মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছিল। ওঁরা উৎসাহ দেখান গোটা বিষয়টাকে নিয়ে। এটা একটা ঐতিহাসিক কাজ।’’