Mohammedan SC

I League: নেরোকাকে হারিয়ে খেতাবের আশা বেঁচে মহমেডানের

ম্যাচের পরে মহমেডান কোচ বললেন, ‘‘ছেলেদের জন্য আমি গর্বিত। প্রবল বৃষ্টিতে খেলা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ওরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২২ ০৬:৩৮
Share:

উচ্ছ্বাস: মহমেডানকে এগিয়ে দিয়ে মার্কাস। এআইএফএফ

আই লিগ

Advertisement

মহমেডান ২ নেরোকা ০

Advertisement

অবশেষে স্বস্তি ফিরল মহমেডানে। এক দিকে মার্কাস জোসেফ-হেনরি কিসেক্কা যুগলবন্দিতে নেরোকা এফসির বিরুদ্ধে ২-০ গোলে দুরন্ত জয়। অন্য দিকে চার্চিল ব্রাদার্সের সঙ্গে গোকুলম এফসি ১-১ গোলে ড্র করায় আই লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা বেঁচে থাকল মহমেডানের। এই মুহূর্তে ১৪ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষ স্থানে গোকুলম। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মহমেডান।

টানা তিনটি ম্যাচে ড্র করে পিছিয়ে পড়া মহমেডানের কাছে শনিবারের দ্বৈরথ ছিল খেতাবি দৌড়ে টিকে থাকার অগ্নিপরীক্ষা। শনিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে নেরোকার বিরুদ্ধে খেলতে মাঠে নামার আগে চার্চিলের কাছে গোকুলমের আটকে যাওয়ার খবর পেয়ে অনেকটাই চাপমুক্ত হয়ে যান শেখ ফৈয়জরা। অসুস্থতার কারণে নিকোলা স্তেয়ানোভিচ খেলতে না পারলেও ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলতে শুরু করেন মহমেডানের ফুটবলাররা। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ১৭ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস।

নেরোকার বিরুদ্ধে আগের সাক্ষাতেও খেলা শুরু হওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে মার্কাস এগিয়ে দিয়েছিলেন মহমেডানকে। কিন্তু রক্ষণের ভুলে ১৩ মিনিটে নেরোকা সমতা ফেরায়। সেই ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শনিবার দুর্দান্ত ভাবেই ঘুরে দাঁড়াল মহমেডান। ম্যাচের সেরা হলেন রক্ষণের অন্যতম ভরসা মনোজ মহম্মদ। খেলা শেষ হওয়ার পরে তিনি বললেন, ‘‘দারুণ আনন্দ হচ্ছে। প্রথমবার ম্যাচের সেরা হলাম। তবে জয়ের কৃতিত্ব আমার একার নয়, সকলের।’’

প্রথমার্ধে আরও কয়েকটি গোলের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি মার্কাসরা। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে নেরোকাকে চাপে রাখে মহমেডান। ৫২ মিনিটে অবিশ্বাস্য ভাবে গোল নষ্ট করেন ফয়সল আলি। ৬৭ মিনিটে মার্কাসের শট গোলে ঢোকার আগে অনবদ্য দক্ষতায় বাঁচান নেরোকার গোলরক্ষক প্রতীক সিংহ। গোলের সংখ্যা বাড়াতে এর পরেই একাধিক পরিবর্তন করেন মহমেডান কোচ আন্দ্রে চের্নিশভ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে ফৈয়জ়কে তুলে হেনরিকে নামান তিনি। সংযুক্ত সময়ে (৯০+১ মিনিট) গোল করেই কোচের আস্থার মর্যাদা দেন তিনি।

ম্যাচের পরে মহমেডান কোচ বললেন, ‘‘ছেলেদের জন্য আমি গর্বিত। প্রবল বৃষ্টিতে খেলা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ওরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement