এ ভাবেই বার বার বাগানের (সাদা জার্সিতে) রক্ষণ ভেঙে বেরিয়ে যান মাজিয়ার ফিল্ডারেরা। ছবি: এক্স।
এই ম্যাচ জিতলেও এএফসি কাপের পরের পর্বে যাওয়ার সুযোগ ছিল না মোহনবাগানের। সেই কারণে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছিল তারা। বিদেশি-হীন সেই দল মাজিয়ার কাছে ০-১ গোলে হেরে গেল। এ বারের এএফসি কাপে গ্রুপ পর্বে এর আগে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি মাজিয়া। সেই মাজিয়ার কাছে হেরে বাড়ি ফিরছে সবুজ-মেরুন।
বিদেশিদের না পাঠানোয় এবং প্রথম দলের অনেকে চোটে থাকায় মূলত তরুণ ফুটবলারদের নামানো হয়েছিল সবুজ-মেরুন জার্সিতে। মলদ্বীপের মাঠে শুরু থেকেই সুবিধা করতে পারছিল না বাগান। তরুণ ফুটবলারদের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে মাজিয়া। প্রথম ২০ মিনিটে মাজিয়ার গোলে একটিও শট নিতে পারেনি বাগান। অথচ তার মধ্যে বাগানের গোলে সাতটি শট নেয় মাজিয়া। আক্রমণ বেশি না করতে পারায় মূলত রক্ষণের উপর জোর দেয় মোহনবাগান। ফলে সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারছিল না মাজিয়া।
প্রথমার্ধে ৩৯ মিনিটের মাথায় পরাস্ত হয় বাগানের রক্ষণ। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করে মাজিয়াকে এগিয়ে দেন হাসান আহমেদ। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে তেমন সুযোগ তৈরি হয়নি। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাগান।
দ্বিতীয়ার্ধেও এক ছবি। শুরু থেকে চাপ বাড়ায় মাজিয়া। বার বার গোলের সুযোগ তৈরি করছিল তারা। ৫৭ মিনিটের মাথায় কোনও রকমে গোল বাঁচান সুমিত রাঠি। ৬৬ মিনিটে গোলের সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন বালাবানোভিচ। গোলদাতা হাসানও একটি সুযোগ ফস্কান। নইলে লজ্জা আরও বাড়ত বাগানের।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে গোল করার কয়েকটি চেষ্টা করে মোহনবাগান। প্রথমার্ধের থেকে ভাল খেলেন হামতে, সুহেলরা। কিন্তু গোল আসেনি। মোহনবাগানের রিজার্ভ বেঞ্চে মাত্র দু’জন ফুটবলার ছিলেন। তাঁদেরও পরিবর্ত হিসাবে নামিয়ে দেন সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। তাতেও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ০-১ গোলে ম্যাচ হারে বাগান।
এই হারের ফলে গ্রুপে তৃতীয় স্থানে শেষ করল মোহনবাগান। ৬টি ম্যাচের মধ্যে ২টি জিতল তারা। ৭ পয়েন্ট হল বাগানের। নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেও গ্রুপে শেষেই থাকল মাজিয়া।